টানা ১২ বছর ধরে চলছে জিবাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো দিদি নম্বর ওয়ান। প্রতিদিন বিকেলে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় যথা সময় এই শো নিয়ে হাজির হয়ে যান। বাংলার ঘরে যেন তিনিই সেরা সঞ্চালিকা। প্রতিদিন একই উদ্যমে, একই উৎসাহ নিয়ে তিনি নয়া নয়া পরিবারের গল্প শোনেন। হাজার হাজার মহিলা তাঁদের ব্যক্তি জীবনের কষ্টের কথা নিয়ে হাজির হন তাঁর কাছে। মন দিয়ে সেই সকল কাহিনি শুনে নেন রচনা, যা অনুপ্রাণিত করে বহু মানুষকে। তবে টানা এই শোয়ের সঞ্চালনা করতে গিয়ে কোথাও ক্লান্তি আসে না? ২০১১ সালে সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিসেন, হ্যাঁ আসে। তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি দুইবার ছয় মাসের জন্য বিরতি নিয়েছিলেন। সেই ছয় মাসে প্রথমে জুন মালিয়া ও পরবর্তীতে দেবশ্রী রায় সঞ্চালনা করেছিলেন।
তবে দুই স্টারকেই যেন সেভাবে মেনে নিতে পারছিলেন না বাংলার দর্শক। সকলেই বারে বারে চেয়েছিলেন যেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেরত আসেন। চ্যানেলও যথারীতি তাই করেছিল। সেই মতই ফিরিয়ে আনা হয় রচনাকে। কিন্তু কেন? উত্তরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যে মানুষ নিজের কষ্টের কথা যাঁকে শেয়ার করে অভ্যস্থ, কোথাও গিয়ে যেন তাঁকেই খোঁজেন। তাঁর সঙ্গে সেই সম্পর্কটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই হয়তো দর্শকেরা তাঁকে খুঁজতেন।
ব্যক্তি জীবনেও এখন বেশ আছেন রচনা। তবে শোনা যায়, স্বামীর সঙ্গে নাকি থাকেন না রচনা। তাঁদের নাকি ছাড়াছাড়ি হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার একটি বিলাশবহুল হাউজ়িং কমপ্লেক্সে তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট। নিজের মতো করে অ্যাপার্টমেন্ট সাজিয়ে নিয়েছেন রচনা। সেই সঙ্গে মাতৃত্বের দায়িত্বও তিনি পালন করছেন অক্ষরে-অক্ষরে।