লোকসভা ভোটে এবারের অন্যতম চর্চিত আসন হুগলি। এখান থেকে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট প্রচারের বিভিন্ন মুহূর্তকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মিম ছড়িয়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার আবারও এক ‘বেফাঁস’ মন্তব্যে ভাইরাল রচনা। অতীতে টক দই ও গরুর দুধ প্রসঙ্গে ট্রোল্ড হয়েছিলেন। এবার ফের ফিরে এল সেই দই প্রসঙ্গ। প্রচারে বেরিয়ে তাঁকে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘গরমে নিজেকে ঠিক রাখবেন কী করে?” উত্তর রচনা বলেন, “গরমে অনেক টক দই খেতে হবে”। এটা বলেই আচমকাই অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন রচনা। আর তাঁর হাসি নিয়ে শুরু হয়েছে কুৎসিত ট্রোলিং।
দেখুন সেই ভিডিয়ো
একজন লেখেন, “মাথাটা কি পুরো খারাপ হয়ে গেল নাকি? কী শুরু করেছেন? এভাবে জনসেবা করবেন কী করে?” আর একজন লেখেন, “আপনাকে ওই টিভির পর্দাতেই ভাল লাগত। এই সব করে নিজের ইমেজটাকে ধ্বংস করে দিলেন।” এর আগে প্রচারে এক ব্যক্তির বাড়ি দই খেয়ে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন রচনা। বলেছিলেন, ‘এমন দই কলকাতায় পাই না। এত ভাল দই এখানকার। আমি তো ভাবছি যতবার আসব, এখান থেকে দই নিয়ে যাব।’ সিঙ্গুরের দই কেন এত ভাল, তারও ব্যাখ্যা দিতে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থীকে। বলেন, ‘সিঙ্গুরের মাটি এত গাছ ও ঘাস-পালায় ভর্তি। আর সেগুলো গরু খাচ্ছে। সেগুলো খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে। এর ফলে দুধটা এত ভাল হয়। সেখান থেকে দইটা ভাল হয়।’ সে নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। ফের ট্রোলিংয়ের মুখে তিনি।
উল্লেখ্য, হুগলির প্রার্থী হওয়ার পর টিভি নাইন বাংলার ‘না বললেই নয়’ অনুষ্ঠানে অতীতে রচনা নিজেই বলেছিলেন, তিনি মিম দেখেন। হুগলিতে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী বলেছিলেন, ‘মাঝেমধ্য়ে তো জীবনে রসদও দরকার। একটু তো হাসতেও হবে। এই মিমগুলির জন্য যদি একটু হাসি হয়, তাতে খারাপ কী! আনন্দই তো দিচ্ছে।’