পিপিই কিট পরে বাজারে গিয়ে সবজিবিক্রেতার সঙ্গে চূড়ান্ত দর কষাকষি। কখনও ‘ম্যায় রাখি সাওয়ান্ত হু’, আবার কখনও ‘দেখো তোমার দোকানকে ভাইরাল করে দিলাম’– রাখি সাওয়ান্তের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই রেগে গেলেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। প্যান্ডেমিকের সময় ফুটপাথের দোকানির সঙ্গে এ রকম দামাদামি একেবারেই ভাল চোখে নেননি তাঁরা।
রাখির শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, পিপিই কিট, হাতে গ্লাভস পরে বাজার করছেন তিনি। যদিও মাঝেমধ্যেই মুখ থেকে নেমে যাচ্ছে মাস্ক। কখনও বা নিজেই নামিয়ে রাখছেন রাখি। যদিও বিক্রেতাকে মাস্ক না পরার জন্য বকাঝকা করছেন তিনি। এর পরেই শুরু হয় রাখির দামাদামি। এক রসুনের প্যাকেট ২০০ টাকা চেয়েছিলেন দোকানি। রাখি ১৫০ দিতে চান। দোকানি রাজি না হওয়ায় তা ছুড়ে রাখেন তিনি।
আরও পড়ুন – ভিডিয়ো: ছোট্ট ইউভানের উপর ‘টর্চার’ চালিয়ে গেলেন রাজ
পাশে দাঁড়ানো এক ব্যক্তি রাখিকে ‘পয়সাওয়ালা’ বলে উল্লেখ করতেই রাখির পাল্টা উত্তর, “যদি পয়সাওয়ালা হইও, তোমাদের জন্য রোজগার করি নাকি? রিয়েলিটি শো-তে এত পরিশ্রম করি।” যদিও কেনাকাটা শেষে সব সবজি মাত্র ২৬০টাকায় পেয়ে উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায় রাখিকে। গোটা ঘটনায় রাখির উপর চটেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, “স্থানীয় দোকানিদের সঙ্গে এ ভাবে দরদাম করা উচিত নয়। শপিং মলে গিয়ে কি এমনটা করতে পারবেন?” আর একজনের বক্তব্য, “ওঁরা ১৩ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন। এমনিতেই রোজগারপাতি পড়ে গিয়েছে ওঁদের। তার মধ্যে রাখি যদি এমনটা করতে থাকেন তা হলে কী করে চলবে?”
ট্রোলড হওয়ার ঘটনা অবশ্য রাখির জীবনে নতুন নয়। দু’দিন আগেই মাস্ক খুলে পাপারাৎজির সামনে ‘করোনা ভাগ যাও ইহাসে’ বলে চিৎকার করতে শোনা গিয়েছে। যদিও রাখি এ সবে পাত্তা দেন না। নিন্দুকের বক্তব্য, “পেজ থ্রির নজর কাড়তেই রাখির এ সব পাবলিসিটি স্টান্ট।”