‘তাল ছাড়াই তাঁদের গালে থাপ্পড় মারা উচিত’, কুণালের মন্তব্যে হতবাক রুদ্রনীল
Rudranil Ghosh: আরজি করের নৃশংসতা দেখে শিউরে ওঠা জনতা যখন রাগে ফুঁসছে, তখন একই সঙ্গে পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন সেলিব্রিটিরা। রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতেও পিছপা হননি তাঁরা। এবার তাঁদেরকে নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ। তাঁদের উদ্দেশ্যেই কড়া বার্তা গেল তৃণমূল নেতার। শুনে অবাক রুদ্রনীল...
‘অমুকের গালে-গালে জুতো মারো তালে-তালে…’, আরজি কর কাণ্ডে এই স্লোগান তুলেছিলেন অনেকেই। আরজি করের নৃশংসতা দেখে শিউরে ওঠা জনতা যখন রাগে ফুঁসছে, তখন একই সঙ্গে পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন সেলিব্রিটিরা। রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতেও পিছপা হননি তাঁরা। এবার তাঁদেরকে নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ। তাঁদের উদ্দেশ্যেই কড়া বার্তা গেল তৃণমূল নেতার। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বললেন, “আরজি করের নিন্দা করেছে বলে বাদ একদম নয়। একশো শতাংশ নিন্দা করবেন। কেন করবেন না? যাঁরা এই স্লোগান দিয়েছেন অমুকের গালে-গালে জুতো মারো তালে-তালে কখনও বলছেন বাংলাদেশের মতো পালাতে হবে। মিথ্যা বিকৃত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে নাটক করেছেন। আমাদের দলের আয়োজিত কোনও অনুষ্ঠানে যেন তাঁদের দেখা না যায়। তৃণমূল কর্মীদের আবেগে আঘাত লাগছে।” এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, “দুমাস আগে বিপ্লব করেছেন। আর তারপর অ্যাডভান্স নিয়ে তৃণমূলের মঞ্চে নাচ-গান করবেন ওসব এবার হবে না।”
যা শোনা মাত্রই রীতিমত অবাক হলেন বিজেপি কর্মী রূদ্রনীল ঘোষ। TV9 বাংলাকে বললেন, “TMC-র কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা মানে? TMC-র সঙ্গে কী সম্পর্ক? রাজ্য সরকার ও TMC-র মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে এটাই এনারা ভুলে যান। যেমন আজকে প্রশাসনিক সভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে তৃণমূল নেত্রী ভেবে আমাদের ট্যাক্সের টাকায় তৈরি হওয়া সভা থেকে ২০২৬-এর নির্বাচনে জিততে যা-যা ভুল বোঝানো প্রয়োজন, বোঝালেন। ফলত, তৃণমূলের এটা অভ্যাস দল ও সরকারের মধ্যে তফাৎটা গুলিয়ে ফেলে। আমি বুঝতে পারছি না এখানে কুণাল ঘোষের মাথা ঘামানোর কী দরকার আছে? রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ বিভাগের গাফিলতি এবং বেশ কিছু জটিলতার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। দুষ্কৃতিরা তথ্য প্রমাণ লুকোতে পেরেছে। এক ডাক্তারের পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাকাণ্ড হল, সেক্ষেত্রে যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, গান গাইছেন, পথে নামছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যখন অন্যায় হয়, বেআইনিভাবে যখন তাঁদের খুনের ধারায় মামলা দেয়, মারধর করে, তখন তাল (‘অমুকের গালে-গালে জুতো মারো তালে-তালে…’ প্রসঙ্গে উক্তি) ছাড়া তাঁদের গালে থাপ্পড় মারা উচিত। তাতে কুণাল ঘোষের মাথা ঘামানোর কী রয়েছে বুঝতে পারছি না। তিনি তো রাজ্য সরকারের মুখ্যপাত্র নন। তিনি কে? এটা তো বুঝতে পারা যাচ্ছে না। আমি বলব, কুণাল ঘোষ, তিনি গুলিয়ে ফেলেছেন। রাজ্য সরকারের বিষয় কেউ যদি কোনও মন্তব্য করেন, সেই বিষয় কুণাল ঘোষের কোনও মন্তব্য করার অধিকার নেই। এখন তিনি কোন পদে আছেন, আমি জানি না। মাঝে মধ্যে তিনি দলে ফেরেন, পদ পান, সেই পদ চলে যায়, তিনিও চলে যান, আমি জানি না। তবে রাজ্য সরকারের বিফলতার পক্ষে তাঁর গলাবাজি না করলেও হবে। আবারও বলছি তিনি রাজ্য-TMC গুলিয়ে ফেলেছেন, সম্বিত ফিরে আসা উচিত।”