অরুণ রায়ের শববাহী গাড়ি আগলে দেব, কান্নায় ভেঙে পড়লেন রুক্মিণী

নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেই এসেছে খবরটা। বৃহস্পতিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পরিচালক অরুণ রায়। দুদিন আগেই বন্ধুকে দেখতে গিয়েছিলেন। এত তাড়াতাড়ি যে এমনটা ঘটে যাবে সেটা ভাবতে পারেননি নায়ক কথা তৃণমূল সাংসদ দেব।

অরুণ রায়ের শববাহী গাড়ি আগলে দেব, কান্নায় ভেঙে পড়লেন রুক্মিণী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 02, 2025 | 5:47 PM

নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেই এসেছে খবরটা। বৃহস্পতিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পরিচালক অরুণ রায়। দুদিন আগেই বন্ধুকে দেখতে গিয়েছিলেন। এত তাড়াতাড়ি যে এমনটা ঘটে যাবে সেটা ভাবতে পারেননি নায়ক কথা তৃণমূল সাংসদ দেব। গত বছর পুজোয় অরুণ রায়ের পরিচালিত ছবিতেই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নায়ক। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। বন্ধু যে এত তাড়াতাড়ি তাঁকে ছেড়ে চলে যাবেন সেটা ভাবতেই পারেননি নায়ক। নিজেদের ছবি পোস্ট করে নায়ক লেখেন, “অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে গেল বন্ধু…”।

এ দিন পরিচালককে হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয় টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োয়। শববাহী গাড়িতে ছোট ভাইয়ের মতো সামনে বসে আগলে অরুণকে নিয়ে এলেন নায়ক। সঙ্গে সেই গাড়িতেই ছিলেন নায়িকা রুক্মিণী মৈত্র। সকলের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন নায়িকা। এদিন সকালে অরুণ রায়ে মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি লম্বা পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। রুক্মিণী লেখেন, “আমি তোমায় সব সময় ভালবাসব হিরো। হ্যাঁ, সত্যিই তুমি হিরোদের মতোই লড়াই করেছ। সব কটা কথা রাখব অরুণদা ,কথা দিচ্ছি। সত্যি কথা বলব না ছেড়ে গেলেই পারতে। আচ্ছা আমি তোমায় খুব ভালবাসি।”

উল্লেখ্য, এদিন খবর পাওয়া মাত্রই হাসপাতালে ছোটেন কিঞ্জল নন্দ, খবর পেয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় করেন একের পর এক পোস্ট। লেখেন, “হীরালালের মতোই… আমার হীরালাল… ভাল থেকো।” তিনিই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, এদিন প্রয়াত পরিচালককে ১টায় পরিদেবপুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখান থেকে ১.৩০ মিনিটে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই কিছুক্ষণ রাখা থাকবে মরদেহ। গত বছর সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় কেমো নেওয়ার পর টিভিনাইন বাংলাকে পরিচালক জানিয়েছিলেন, একেবারেই নিজেকে অসুস্থ মনে হচ্ছে না তাঁর। এমনকি কেমো নেওয়ার পরও অসুবিধে হয়নি। কিন্তু গত কয়েক দিনে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। এই মুহূর্তে কোমায় রয়েছেন পরিচালক। ভেন্টিলেশনে জীবনদায়ী ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে তাঁকে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি।