করোনার (covid 19) দ্বিতীয় ঢেউ সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে। কোথাও হাসপাতালে বেড নেই। কোথাও নেই অক্সিজেন। কোথাও বা গৃহবন্দি করোনা আক্রান্তকে খাবার তৈরি করে দেওয়ার মতো কেউ নেই। এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষ নিজের সাধ্যমতো এগিয়ে এসেছেন। কেউ প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর জোগাড় করে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কেউ বা নিজের উদ্যোগেই রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন রোগীর বাড়ি। আবার কেউ বা ভ্যাকসিন নেওয়াটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়াতে নিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে অনবরত সাহায্য করার চেষ্টা করছেন অভিনেত্রী (Actress) রুক্মিণী মৈত্রও (Rukmini Maitra)। কিন্তু অসহায়তা ঘিরে ধরছে তাঁকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুক্রবার একটি পোস্ট শেয়ার করেন রুক্মিণী। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘যখন দেখছি এই পরিস্থিতিতে আমার দেশের প্রতিটি নাগরিক লড়াই করার চেষ্টা করছেন, তখন আমার চোখ জলে ভরে যাচ্ছে। … সাহায্যের আবেদনে ভরে যাচ্ছে আমার টাইমলাইন। যাঁরা সাহায্য চাইছেন, সকলে আমার পরিচিতও নন। আমার দেশের মানুষই অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন আমাকে। আজকে প্রকৃত অর্থেই আমরা আত্মনির্ভর। একলা চলো রে আজকের অর্ডার।… আজকের দিনে আপনিই হিরো।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই দেশের নাগরিকদের আত্মনির্ভর হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক মঞ্চে কোথাও সেই মন্তব্যের সমালোচনা হয়েছিল। কোথাও বা প্রশংসা। এর আগে আত্মনির্ভর শব্দটিকে ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করেছিলেন দেবও। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজার পর থেকেই দলীয় প্রার্থীদের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে যাচ্ছিলেন দেব। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে তিনি প্রতিটি প্রচার সভায় গিয়ে মাস্ক পরার অনুরোধ করছিলেন। পরে সমস্ত রাজনৈতিক জমায়েত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।
দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আমার সমস্ত রাজনৈতিক জমায়েত বাতিল করলাম। সুস্থ থাকুন। বাইরে বেরলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। রাজনৈতিক নেতা না হলে অকারণে বাইরে বেরবেন না (আপনারা এর কারণ জানেন)। অবশেষে আত্মনির্ভর হওয়ার সময় এসেছে (এটা কটাক্ষ নয়, এটাই বাস্তব)। নিজের জীবন বাঁচান।’
আর এ বার রুক্মিণীর লেখাতেও এক সুর। যদিও এটাকে কটাক্ষ বলে মনে করছেন না ইন্ডাস্ট্রির বড় অংশ।