সায়নী ঘোষ– যাদবপুরের মতো অন্যতম উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রে ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে নব নির্বাচিত সাংসদ তিনি। ভোট বাজারে সায়নীর স্টাইল স্টেটমেন্ট নিয়ে এ যাবৎ কম আলোচনা হয়নি। সুতির শাড়ি, পায়ে হাওয়াই চটি, চুলটাও অগোছালো করে বাঁধা–এভাবেই প্রচার সেজেছেন তিনি। অনেকেই মনে করেছেন, তিনি নাকি অনুকরণ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীর স্টাইল স্টেটমেন্ট! ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তাঁর সাজগোজে আমূল পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। তাঁকে এখন অধিকাংশ সময়ই শাড়িতেই দেখা যায়। এবার সাংসদে প্রথমবার পা রাখলেন তিনি। সেখানেও পরণে ছিল শাড়ি। পোশাকের এই পরিবর্তন নিয়ে TV9বাংলায় আগেই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী তথা সাংসদ।
সায়নী বলেছিলেন, “আমাকে যদি আপনি দেখেন চুল কার্ল করে বা সোনালী চুল লাগিয়ে মোটামুটি টাইট জামা অথবা গাউন পরে হাজির হই, তবে মানুষেরই আমাকে গ্রহণ করতে অসুবিধে হবে। আর কোনওদিনই আমি খুব একটা গ্ল্যামার স্টাক্ট ছিলাম না।” যোগ করেছিলেন, “আমার এখন রাজনৈতিক পরিচয় হয়েছে তাই একটা অন্য মাত্রার শালীনতা বজায় রাখা উচিৎ বলে আমার মনে হয়।” আর সেই শালীনতা বজায় রেখেই সাংসদে তিনি।
তবে সেই ছবি সামনে আসতেই শোরগোল নেটপাড়ায়। কটাক্ষের শিকার হতে হল তাঁকে। এক শ্রেণি চরম ট্রোল্ড করলেন সায়নীকে। কেউ লিখলেন, যাদবপুরের ভবিষ্যত অন্ধকার। আবার কেউ লিখলেন, ‘লজ্জা লাগা দরকার’, কেউ আবার খোঁজ করলেন অপর সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। লিখলেন, ‘আর হুগলির দিদি নাম্বার ওয়ান কই’? যদিও ওপর শ্রেণি তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দিলেন।