২৭ ডিসেম্বর, বলিপাড়ার ভাইজানের জন্মদিন। সলমন খান বলে কথা, ফলে এদিন প্রতি বছর তাঁর বাড়ি গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে ভিড় জমে চোখে পড়ার মতো। এবারও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়। তাই ইতিমধ্যেই নানা পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। তবে শোনা যাচ্ছে এবার অন্য খবর। বেশ কিছুদিন ধরেই সলমন খানের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় গোটা দেশ, পুলিশ প্রশাসন। আর সেই কারণেই এবার জন্মদিনে মধ্যরাতে কিংবা বিকেলে গ্যালাক্সির বারান্দায় ভক্তদের সঙ্গে দেখা করতে নাও আসতে পারেন ভাইজান। জল্পনা বাড়তেই মন খারাপ অনুরাগীদের।
যদিও সলমন খানের নিরাপত্তা যথেষ্ট কড়া। সঙ্গে রয়েছে তাঁর ডান হাত শেরাও। বলিউডে একটি কথা প্রচলিত আছে– কথাটি শেরাকে নিয়ে। শেরাকে চেনেন? সেই ২৯ বছর ধরে সলমনকে আঁকড়ে রেখেছেন, যে মানুষটি তিনি শেরা অর্থাৎ গুরমিত সিং জলি। শেরা আদপে সলমন খানের দেহরক্ষী। তবে সম্পর্ক এখন আর কর্মচারী-মালিকেরর নয়! সলমন ভাই তিনি। বলিউডের অন্দর বলে, যতক্ষণ শেরা তাঁর পাশে আছেন মৃত্যুও ছুঁতে পারবে না ভাইজানকে। এও বলা হয়, নিজের জীবন বাজি রেখে সলমনকে বাঁচাতে রাজি এই শেরা।
বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর ভয়ে কাঁপছেন সলমন। কিনেছেন বুলেট প্রুফ গাড়ি। খুব চেনাশোনা না হলে দেখাই করছেন না। ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরছেন প্রতিনিয়ত। বাড়ির সামনে পুলিশি প্রহরা। এরকমই এক অস্থির সময়ে সলমনকে আগলে রেখেছেন যিনি তিনি শেরা মাসে ১৫ লক্ষ টাকা বেতন পান তিনি। বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা।
২০১১ সালে বেস্ট সিকিউরিটি পুরস্কারও পান তিনি। তাঁর রয়েছে নিজস্ব এজেন্সিও। এতটাই ধনী এই শেরা যে কিনে ফেলেছেন এক রেঞ্জ রোভার গাড়িও। তবে শুধু সলমন খান নয়, ভারতে যখন আন্তর্জাতিক তারকারা আসেন তখনও শেরার এজেন্সিই নিরপত্তার দায়িত্ব নেন। জাস্টিন বিবারের ভারত ট্যুরেও দায়িত্বে ছিলে শেরা।