সলমনকে জড়িয়ে যে বিতর্কগুলো: ‘ভাইজান’-এর জন্মদিনে দেখুন ছবি
শুভঙ্কর চক্রবর্তী |
Dec 27, 2020 | 1:38 PM
বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সিয়াল’ নায়ক। তিনি যা-ই করেছেন, বলেছেন তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠছে। প্রেমিকার গায়ে হাত তোলা থেকে কৃষ্ণসার হত্যা। তো কখনও ২৬/১১ সন্ত্রাস হামলায় মন্তব্য করে রুষ্ট করেছেন আমজনতাকে। আবার কখনও ‘হিট অ্যান্ড রান কেস’-এর অভিযোগে জেরবার হয়েছন বলিউডের ‘ভাইজান’। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সলমন খানের জীবনের অন্ধকার দিকগুলো।
1 / 9
কৃষ্ণসার হত্যা এবং আগ্নেয়াস্ত্র—১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে সলমন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়' ছবির শুটিং চলাকালীন ১ অক্টোবর তিনি তাঁর সহ অভিনেতা সইফ আলি খান, টাব্বু ও অভিনেত্রী সোনালী বেন্দ্রের সঙ্গে নিয়ে দুটি কৃষ্ণসার শিকার করার অভিযোগ ওঠে। মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা এবং তার ব্যবহার করার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কারাবাসও হয়। পরে জামিনে ছাড়া পান।
2 / 9
ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চন—২০০১ সাল এক মাঝরাতে ঐশ্বর্য্যর বাড়িতে দরজা ধাক্কা, যা চলে প্রায় রাত তিনটে অবধি। অভিযোগ সলমন ‘অপব্যবহার, শারীরিক লাঞ্ছনা এবং অসম্মান’ করেছেন মিস ওয়ার্ল্ড’৯৪-কে। ২০০২ সালের মার্চ মাসে সলমন- ঐশ্বর্য্যর বিচ্ছেদের পরে সলমনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগও আনা হয়েছিল।
3 / 9
বিবেক ওবেরয়— শোনা যায়, বিবেকের সঙ্গে ঐশ্বর্যর এক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এবং এক প্রেস কনফারেন্সে বিবেক ওবেরয় বলেন, ৪১ বার তাঁকে কল করেছেন সলমন খান। হুমকি দিয়েছেন। এমন নোংরা কথা বলেছেন যা মুখে আনা যায় না।
4 / 9
‘হিট অ্যান্ড রান’—২০০৮ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে সলমন খান মুম্বইয়ের রাস্তার ওপর একটি বেকাররি সামনে শুয়ে থাকা লোকেদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেন।একজনের মৃত্যু হয় এবং চারজন আহত হয়। পরে মু্ম্বই হাইকোর্ট সলমনকে সমস্ত ফৌজদারি মামলার অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে।
5 / 9
২৬/১১— ২০০৮ সালে মুম্বই জঙ্গি হামলার সময় পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সলমন বলেন, “হামলাগুলো হাইলাইট করা হয়েছে কারণ তারা মুম্বইয়ের ধনী ও অভিজাতদের দিকে লক্ষ্য করেছে, ঘটনাটা তাই শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে হয়েছিল। তিনি আরও বলেন “এ জাতীয় হামলা এর আগেও হয়েছে কিন্তু নজর কাড়েনি। পাকিস্তানকে এর জন্য দোষ দেওয়া উচিৎ হয়নি, এটা ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনীর ব্যর্থতা।” খানের মন্তব্য শিবসেনা সহ রাজনৈতিক দলগুলো তাঁর এ হেন মন্তব্য খুব ভাল ভাব নেয়নি। পরে মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
6 / 9
ইয়াকুব মেমন—“ইয়াকুব মেমন নয় ভাই টাইগার মেমনর ফাঁসি হওয়া উচিৎ”: সলমন খান। ২৫ জুলাই ২০১৫-য় সলমন খান টুইট করেন মুম্বই হামলার (১৯৯৩) অভিযুক্ত ইয়াকুবের সমর্থনে। এই অভিনেতার মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তার বাবা সেলিম খানকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়। পরে সলমন সেই টুইট ডিলিটও করে দেন।
7 / 9
শাহরুখ খান— তৎকালীন প্রেমিকা ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের সলমন খান ও শাহরুখ খান এক লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন। এসআরক এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন যা সলমনের ভাল লাগেনি। খবর রটে বলিউডের দুই ‘খান’ একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন না। ২০১৩ সালে বাবা সিদ্দিকীর ইফতার পার্টিতে সবকিছু মিটিয়ে নেন বলে খবর।
8 / 9
এক ধর্ষিতর মতো— তাঁর সিনেমা প্রমোশন করতে দিয়ে তিনি ভয়ানক শুটিং শিডিউল বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “যখন রিং থেকে বেরিয়ে আসি, তখন নিজেকে ধর্ষিত মহিলার মতো মনে হচ্ছিল।”
9 / 9
নেপোটিজম— সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে বলি ইন্ডাস্ট্রিতে স্বজনপোষণ নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়। সলমন খানের নাম উঠ আসে বারবার। অভিনব কাশ্যপ বলেন সলমন খান সাবতোজাজ করে তাঁর কেরিয়ার নষ্ট করে দিতে চেয়েছেন।