নবরাত্রি উদযাপন চলছিল গোটা মুম্বই জুড়ে। আনন্দ যেন বাঁধ মানছিল না আরবসাগরেরতীরের মায়ানগরীতে। ঠিক এমনই এক সময়ে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাবা সিদ্দিকীর দেহ। সেই শোকে এখনও আচ্ছন্ন গোটা মুম্বই। ধুরন্ধর বিষ্ণোই গ্যাং এই হত্যার দায় স্বীকার করে জানিয়েছেন, যে বা যারা সলমন খানকে সাহায্য করবেন তাঁদের সবার অবস্থাই নাকি হবে সিদ্দিকীর মতোই। তাঁদের আসল টার্গেট যে সলমন তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন তাঁরা।
ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, এতদিন এ নিয়ে বিচলিত না হলেও সম্প্রতি বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যুতে ভিতর থেকে ভেঙে পড়েছেন সলমন খান। মিটিং বাতিল করেছেন। বাইরের কারও সঙ্গে দেখাও করছেন না। মানসিক ভাবেই বিধস্ত তিনি। এখানেই শেষ নয়। বাড়াবো হয়েছে তাঁর নিরাপত্তাও। সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টটি ঘিরে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার বলয়ে। ফ্ল্যাটের বাইরে বসেছে সিআরপিএফ। থাকছে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা। সঙ্গে থাকবেন সব রকম অস্ত্র চালাতে সক্ষম দুই কনস্টেবল। এ ছাড়া তাঁর বাড়ির বাইরে থাকছে স্পেশ্যাল রিসার্ভ পুলিশ ফোর্স, অর্থাৎ এসআরপিএফ।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় চিঙ্কারা ও কৃষ্ণসার মৃগ হত্যা করার অভিযোগ ওঠে সলমন খানের বিরুদ্ধে। তাঁকে জেলেও যেতে হয়। কৃষ্ণসার মৃগ বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের পুজিত। এরপর থেকেই সলমনকে বারেবারে খুনের হুমকি দিচ্ছে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা।