ফেলুদার প্রস্তাব অমিতাভের কাছে? শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি
Bollywood Gossip: জানতেন কি এই খবর? সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে এবার সেই খবরেই নজর। বাংলার কিংবদন্তি পরিচালক চেয়েছিলেন এই চরিত্রকে প্রথম অমিতাভ বচ্চনকেই দিতে। পৌঁছে গিয়েছিলেন বিগ বি-র কাছে। অমিতাভের কেরিয়ার তখন মধ্য গগণে।
ফেলুদা, বাঙালির কাছে নস্ট্যালজিয়া। সত্যজিত রায় মানেই এক শ্রেণির কাছে বাংলার এই দাপুটে গোয়েন্দা। অন্যদিকে আবার অমিতাভ বচ্চন। বাংলা বাঙালির সঙ্গে যাঁর গভীর সম্পর্ক। এই দুই যদি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়, তবে কেমন হত, বলতে পারেন? না, আজ হয়তো তা আর সম্ভবপর নয়, তবে একটা সময় এটাই সত্যি করতে চেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। জানতেন কি এই খবর? সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে এবার সেই খবরেই নজর। বাংলার কিংবদন্তি পরিচালক চেয়েছিলেন এই চরিত্রকে প্রথম অমিতাভ বচ্চনকেই দিতে। পৌঁছে গিয়েছিলেন বিগ বি-র কাছে। অমিতাভের কেরিয়ার তখন মধ্য গগণে। একের পর এক ছবি তখন তাঁর হিট। তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না, কোন ছবির প্রস্তাব গ্রহণ করবেন, আর কোন ছবির প্রস্তাব তিনি ফেরাবেন। দুর্ভাগ্যবশত তিনি ফেলুদা ছবির প্রস্তাব ব্যস্ততার কারণে গ্রহণ করে উঠতে পারেননি। যার ফলে নিরাশ হয়েই ফিরতে হয়েছিল পরিচালককে। তবে তিনি ফেলুদাকে লঞ্চ করতে চেয়েছিলেন বলিউডেই।
কারণ এরপর তিনি এই ছবির প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন শশী কাপুরের কাছে। তবে তিনিও নানা কারণ বশত তিনি এই ছবির প্রস্তাব গ্রহণ করে উঠতে পারেননি। তারপর তিনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই ছবি করার পরিকল্পনা করেন। যা বাঙালির মনে পাকাপাকি জায়গা করে নেয়। যা নিয়ে চর্চাও ওটে তুঙ্গে। আজও দর্শকদের কাছে ফেলুদা মানেই নস্ট্যালজিয়া। কখনও সব্যসাচী চক্রবর্তী, কখনও আবির চট্টোপাধ্যায়, কখনও ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কখনও আবার টোটা রায় চৌধুরী, সকলেই নিজের মতো করে পর্দায় এই চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। যা নিয়ে শোরগোল বর্তমান। দর্শকের কাছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফেলুদার উপস্থাপনা পাল্টেছে ঠিকই, তবে একই আছে এই চরিত্রের প্রতি টান।