সত্যজিত্ রায়ের পৈতৃক বাড়িই ভেঙে ফেলছেন ইউনূস! মুখ খুললেন পুত্র সন্দীপ
বাংলাদেশে ইউনূস প্রশাসনের আরও এক লজ্জাজনক পদক্ষেপ। ভাঙা হচ্ছে ময়মনসিংহে হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। সত্যজিতের পূর্বপুরুষের এই বাড়ি বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হত। সেটাই এবার ভাঙছে মহম্মদ ইউনূসের প্রশাসন। এই নিয়ে এবার সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশে ইউনূস প্রশাসনের আরও এক লজ্জাজনক পদক্ষেপ। ভাঙা হচ্ছে ময়মনসিংহে হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। সত্যজিতের পূর্বপুরুষের এই বাড়ি বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হত। সেটাই এবার ভাঙছে মহম্মদ ইউনূসের প্রশাসন। এই নিয়ে এবার সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে এক্স হ্যান্ডলে মমতা লিখেছেন, ঐতিহাসিক এই বাড়িকে ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিষয়টিতে নজর দেওয়ার জন্য মোদী সরকারের কাছেও আবেদন জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গে সত্যজিত্-পুত্র সন্দীপ রায় এবার মুখ খুললেন। TV9 বাংলার প্রশ্নের উত্তরে সন্দীপ বললেন, “আমি একটা ঘটনাই বলতে পারি। বাবা যখন ১৯৮৭ সালে সুকুমার রায়ের উপর তথ্যচিত্র করছিলেন, তখন ওঁর বাংলাদেশ যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। সুকুমার রায়ের পৈতৃক বাড়িতে শুটিং করার ইচ্ছা ছিল। তার আগে উনি ওঁর একজন সহকারীকে পাঠান সেই বাড়িতে। উনি গিয়ে দেখে ছবি তুলে এনেছিলেন। বাবা সেই ছবি দেখে খুবই মর্মাহত হয়েছিলেন যে, অবস্থা খুবই খারাপ। যে কারণে উনি আর গেলেন না। ওই অবস্থায় ছবি, আমাদের ফিল্মে রাখলে মানে হতো না। যে কারণে ওই অংশটা ওঁকে বাদ দিতে হয়েছিল।”
এরপর সন্দীপ যোগ করেন, “আসলে আমরা কিছু জানি না। মাঝে শুনেছিলাম, ওই বাড়িটা সারিয়ে ঠিক করা হবে। কিন্তু এখন তো শুনছি অন্য ব্যাপার। আমি ওখানে কোনওদিনই যাইনি। বাবা হয়তো একবার গিয়েছিলেন বহুকাল আগে। যে কারণে আমাদের পক্ষে বলা খুব মুশকিল। বাড়ির অবস্থা যে খুবই খারাপ ছিল, সেটা বলতে পারি।” বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক যে টানাপোড়েন, সে কারণে কি এই বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো এখন? সন্দীপের উত্তর, ”সেটা নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে বাড়িটার ভগ্নাবশেষ পড়ে ছিল, সেটা ছবিতে দেখেছি। সেটুকুই বলতে পারি।”
