‘খালি পেটে ঘুমোবেন না’, করোনা আক্রান্তকে খাবার পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াস সায়ক-দিয়ার
এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষ নিজের সাধ্যমতো এগিয়ে এসেছেন। কেউ প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর জোগাড় করে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কেউ বা নিজের উদ্যোগেই রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন রোগীর বাড়ি।

করোনার (coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউ সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে। কোথাও হাসপাতালে বেড নেই। কোথাও নেই অক্সিজেন। কোথাও বা গৃহবন্দি করোনা আক্রান্তকে খাবার তৈরি করে দেওয়ার মতো কেউ নেই। এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষ নিজের সাধ্যমতো এগিয়ে এসেছেন। কেউ প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর জোগাড় করে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কেউ বা নিজের উদ্যোগেই রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন রোগীর বাড়ি। আর যোগাযোগের মাধ্যম মূলত সোশ্যাল মিডিয়া।
এই তালিকায় রয়েছেন কিছু চেনা মুখও। সায়ক চক্রবর্তীকে অভিনেতা হিসেবে টেলিভিশনের পর্দায় দর্শক দেখেন। সেই সায়ক এগিয়ে এসেছেন এই কাজে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘তেমন কোনও সিরিয়াল করছি না, যেখানে আমার পার ডে অনেক বেশি। কিন্তু যা জমিয়েছি তাতে আশা করি কিছু মানুষকে খাবার খাওয়াতে পারব। যদি কোনও ব্যক্তির কাজ না থাকে এবং বাড়িয়ে করোনা রোগী থাকে, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমি নিজে আপনার বাড়িতে খাবার দিয়ে আসব।’
একই রকম উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে টেলিভিশনের আরও এক অভিনেত্রী দিয়া চক্রবর্তীকে। তাঁর অনুরোধ, ‘খালি পেটে ঘুমোতে যাবেন না। আমি ধনী নই। সাধারণ মানুষ। কিছু না পারলেও নুডলস, পাঁউরুটি বা দুধের ব্যবস্থা তো করতে পারব।’
সায়ক বা দিয়ার মতো এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। যাঁরা প্রত্যক্ষ ভাবে এগিয়ে আসতে পারেননি, তাঁরা এই তথ্য সোশ্যাল ওয়ালে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিচ্ছেন আরও মানুষের মধ্যে। সর্বস্তরে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছেন সকলেই। কোনও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় না থেকে করোনা পরিস্থিতিতে এই লড়াই লড়ছেন সাধারণ মানুষ। আসলে লড়াইটা সকলের। জিততেও হবে একসঙ্গেই।
আরও পড়ুন, আমির খানের কোন ছবিতে অডিশন দিয়েও সুযোগ পাননি অনুষ্কা?





