‘তুম ইতনা জো মুসকারা রহেঁ হো, কেয়া গম হ্যায়ঁ জিস কো ছুপা রহেঁ হো’ —কাইফি আজমি।
কবি কাইফির আজ জন্মদিন। বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হত ১০২। বাবার সঙ্গে কাটানো সব মুহূর্তের কথা মনে পড়ে যায় মেয়ে শাবানা আজমির (Shabana Azmi)।
বাবার সঙ্গে কাটানো স্মৃতি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শাবানা বলেন, “কুর্তা-পায়জামা পরে হাতে সিগারেট নিয়ে সকাল সকাল লেখার টেবিলে বসে বাবা লিখছেন। ছোটবেলায় আমাকে বোঝানো হয়েছিল কবি এমন কেউ যাঁকে কাজ করতে হয় না। বাবাদের শার্ট-প্যান্ট -টাই পরে কাজে যায়।বাবাকে জিজ্ঞেস করলে বলতেন তিনি ব্যবসায়ী এবং সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টার মোড় ঘুরিয়ে দিতেন। আর আমি তো সরল…বাবা একজন সুদর্শন পুরুষ ছিলেন সঙ্গে ছিল এক দারুণ কণ্ঠ।”
বাবার কথা প্রসঙ্গে শাবানা আরও বলেন, “অনেকে জানেন না, ওঁর দারুণ সেন্স অফ হিউমার ছিল।”
বাবা-ই ছিলেন শাবানার জীবনের সত্যিকারের হিরো।“আমার জীবনের সব ছিলেন বাবা। আমার প্রিয় বন্ধু। আমি যখন দিল্লি থেকে মিরাট অবধি পদযাত্রা করেচিলাম। ভীষণ টেনশনে ছিলাম। বাবা আমার গাল টেনে বলেছিল, ‘আমার সাহসী মেয়ে হাঁটতে চলেছে। যাও তোমার কিচ্ছু হবে না। তুমি জিতেই ফিরবে।’ আমার কাছে কথাগুলো অক্সিজেনের মতো ছিল। বাবার কাছে আমি ভীষণ খোলামেলা ছিলাম। কোনও রেফারেন্স টেনে কথা বলতে বাবার কবিতা, কাজ, জীবন, সাহসের কথা বলতাম।”