বাঙালি পরিচালক দিয়েছিলেন মাত্র ৫০০০টাকা, শর্মিলা তা দিয়েই করেন স্বপ্নপূরণ
শর্মিলা ঠাকুর, বরাবরই তিনি তাঁর রূপ ও অভিনয় গুণে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছেন। কেরিয়ারের শুরু থেকেই তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি প্রথম উপার্জন করেছিলেন। শর্মিলা ঠাকুর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাঁর বাবা প্রথম এই কাজ নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
শর্মিলা ঠাকুর, বরাবরই তিনি তাঁর রূপ ও অভিনয় গুণে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছেন। কেরিয়ারের শুরু থেকেই তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি প্রথম উপার্জন করেছিলেন। শর্মিলা ঠাকুর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাঁর বাবা প্রথম এই কাজ নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তবে প্রাথমিকভাবে তাঁদের সঙ্গে পারিশ্রমিক নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। প্রাথমিকভাবে অভিনয়টাই মন দিয়ে করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। সকলের নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছিলেন রাতারাতি। কাজ শেষ হওয়ার পর শর্মিলা ঠাকুরের বাবা একটা টাকাও নিতে চাননি। যদিও দীর্ঘ কথোপকথনের পর সত্যজিৎ তাঁদেরকে দিয়েছিলেন ৫০০০ টাকা, সঙ্গে একটি শাড়ি, শর্মিলার জন্যে, ও একটি ঘড়ি।
এটাই শর্মিলা ঠাকুরের প্রথম মাইনে। তা নিয়ে নিজের স্বপ্নপূরণ করেছিলেন তিনি। কী করেছিলেন তিনি তাঁর সেই আয়ের টাকা নিয়ে? এক সাক্ষাৎকারে শর্মিলা ঠাকুর জানান, আমরা তো বাঙালি, তাই আমরা সকলে মিলে চলে গিয়েছিলাম একটা সোনার দোকানে। তা দিয়ে একটা চুড়ি, একটা নেকলেস ওকটা কানের দুল কিনেছিলাম। যদিও টাকাটা খুব কম, তবে তখন জিনিসের দাম এত ছিল না। আমি আমার জীবনে খুবব তাড়াতাড়ি উপার্জন শুরু করে দিয়েছিলাম। যদিও পারিশ্রমিক তখন এতটাও বেশি ছিল না, যতটা এখন সকলে পায়। তবে আবারও বলছি, তখন জিনিস এতটা দামী ছিল না।
কিছুদিনের মধ্যেই শর্মিলা ঠাকুর বলিউড থেকে টলিউড কাঁপাতে শুরু করে দিয়েছিলেন। একের পর এক ছবি দাপটের সঙ্গে করতে দেখা যায় তাঁকে। শর্মিলা ঠাকুর বর্তমানে অভিনয় থেকে বেশ কিছুটা দূরে। যদিও আজও তাঁর রূপ যেন ফেটে পড়ছে। দীর্ঘ কেরিয়ারে শর্মিলা ঠাকুরকে নিয়ে সেভাবে গসিপ জায়গা করতে পারেনি। আজও তিনি বলিউডের অন্যতম চার্মিং স্টার।