শ্যাম বেনেগল, জন্ম ১৪ ডিসেম্বর ১৯৩৪ সালে। মাত্র ১২ বছর বয়সেই হাতে ক্যামেরা পান তিনি। পরিচালকের বাবা তা উপহারে দিয়েছিলেন। আর সেই শুরু। ক্যামেরা হাতে পেয়েই বানিয়ে ফেলেছিলেন প্রথম ছবি। তার প্রথম চারটি ছবি – অঙ্কুর (১৯৭৩), নিশান্ত (১৯৭৫), মন্থন (১৯৭৬), ও ভূমিকা (১৯৭৭) ভারতীয় ছবির জগতে বড় সম্পদ। বরাবরই অন্য স্বাদের গল্প বলায় বিশ্বাসী ছিলেন শ্যাম বেনেগল। তাঁর ছবি মানেই সেখানে নারীর অগ্রাধিকারের কথা। তাঁর ছবি মানেই সমান অধিকারের কথা। ছবিকে ভালবেসে তাকে এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। তাঁর হাতে ক্যামেরা যেন কথা বলত।
১৯৯১ সালে পদ্মভূষণ,১৯৭৬ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৭ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও ভি. শান্তরাম লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার, জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। তিনি হায়দ্রাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। আর সেখানে তিনি হায়দ্রাবাদ ফিল্ম সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও কর্মজীবনের সূত্রপাত তাঁর এক বিজ্ঞাপনের সংস্থা থেকে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৩ সালে বেনেগল পুনের ভারতীয় চলচ্চিত্র ও দূরদর্শন সংস্থানে শিক্ষকতা করেন এবং ১৯৮০-৮৩ ও ১৯৮৯-৯২ সালে দুইবার এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালন করেন। ২০২৩ সালে তিনি শেষ ছবি তৈরি করেন, নাম মুজিব- একটি জাতির রূপকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী নিয়ে তৈরি এই ছবি। অভিনয়ে ছিলেন, আরিফিন শুভ, নুসরাত ইমরোজ তিশা, ফজলুর রহমান বাবু, চঞ্চল চৌধুরী, নুসরাত ফারিয়া, রিয়াজ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শহীদুল আলম সাচ্চু, তৌকির আহমেদ, গাজী রাকায়েত, তুষার খান, শতাব্দী ওয়াদুদ, মিশা সওদাগর ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি প্রমুখেরা।