যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন গায়ক অনুপম রায়। তারপর তিনি চাকরিতেও যুক্ত হয়েছিলেন। চাকরি জীবনের প্রথমদিনের ছবি গায়ক শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। মন ভাল করা সেই ছবিতে লম্বা ক্যাপশনও লিখেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, “২০ বছর আগে এই দিনেই প্রথম চাকরি জীবন কাটাই। আমি ছিলাম ডিজ়াইন ইঞ্জিনিয়ার।” @txinstruments-এ কাজ করতেন অনুপম। লেখেন, “সদ্য কলেজ থেকে বেরিয়েছিলাম। আমার বাঁ-দিকে রয়েছেন অনির্বাণ। আমরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে পড়তাম। আমার ডানদিকে সুব্রত। ও পড়ত শিবপুরে। ছবি দেখে মনে হচ্ছে সবটাই গতকালের ঘটনা।”
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লেও, চিরকালই সাহিত্যের কাছাকাছি ছিলেন অনুপম। মায়ের কাছে বাংলা শিখেছিলেন। মা-ই ছিলেন তাঁর প্রথম গানের গুরু। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার অনেক আগে থেকেই গান-কবিতা-গল্প লিখতেন অনুপম। সেই অভ্যাস তাঁর এখনও রয়ে গিয়েছে।
বেঙ্গালুরুতে আর পাঁচজন আইটিকর্মীর মতোই চাকরি করতেন অনুপম। তবে কর্পোরেট চাকরির পরিশ্রম তাঁকে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত করতে পারেনি। সাহিত্যের রসাস্বাদন থমকে যায়নি। থামেননি গায়ক-সঙ্গীত পরিচালক। একাধারে চলেছে তাঁর গান-চর্চা। ফলে, প্লেব্যাকের সুযোগও ঘটেছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ গেয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি অনুপমকে। কিন্তু তিনি পিছনে ফিরে তাকাতে ভালবাসেন। না হলে পুরনো সেই দিনের কথা তাঁর বারবার মনে পড়ত না। শেয়ার করতেন না প্রথম চাকরির প্রথমদিনের এমন জিয়া নট্যাল ছবি।