স্মিতা পাটিলের মৃত্যুর আগের শেষ কয়েক ঘণ্টা ছিল ভয়াবহ, জানলে আপনিও কেঁপে উঠবেন
এই ১৩ ডিসেম্বরই হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করতে করতে চলে গেলেন স্মিতা। মৃত্য়ুর ঠিক আগে নিজের একটিবার দেখতে চেয়েছিলেন স্মিতা। কিন্তু তাঁর এই শেষ ইচ্ছা পূরণ হয়নি।

দিনটা ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৬। এখনও বলিউডের বুকে স্মিতা পাটিলের মৃত্যুর ক্ষত। হিন্দি সিনেমার দুরন্ত এই অভিনেত্রীর পরিণতি যে এমনটা হবে, তা ভাবলেই এখনও চোখের কোলে জল আসে। কিন্তু নিয়তির লেখাকে কে মুছবে?সবাইকে চমকে দিয়ে এই ১৩ ডিসেম্বরই হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করতে করতে চলে গেলেন স্মিতা। মৃত্য়ুর ঠিক আগে নিজের একটিবার দেখতে চেয়েছিলেন স্মিতা। কিন্তু তাঁর এই শেষ ইচ্ছা পূরণ হয়নি।
স্মিতার জীবন বরাবরই টালমাটাল। বরং বলা ভালো তাঁর জীবন জুড়ে শুধুই ঝড়। কখনও বিবাহিত রাজ বব্বরের সঙ্গে তাঁর প্রেম, বিরহ ও এই প্রেম ঘিরে অসম্মান। কখনও আবার গোপনেই ভেঙে ফেললেন সংসারকে নিয়ে দেখা তাঁর স্বপ্ন।
মৃত্যুর ঠিক আগের দিনও যেন একটু একটু করে স্বপ্ন বুনছিলেন এবং আতঙ্কে ভুগছিলেন। ১২ ডিসেম্বর। কয়েকদিন আগে স্মিতার কোল জুড়ে এসেছে ফুটফুটে পুত্রসন্তান। সাধ করে নাম রেখেছিলেন প্রতীক। কিন্তু মা হওয়ার পর থেকেই নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। জ্বর কমছিলই না তাঁর।
১২ ডিসেম্বর সকালের কথা। পাশে শুয়ে ঘুমে কাদা রাজ বব্বর। এদিকে জ্বর বাড়ছে স্মিতার শরীরে। হঠাৎ করেই ছোট্ট প্রতীক কেঁদে ওঠে। যাতে রাজের ঘুম না ভাঙে, অসুস্থ অবস্থাতেই, সন্তানকে কোলে নিয়ে বেডরুম থেকে বেরিয়ে যান স্মিতা। গায়ে চাদর জড়িয়ে কোলে নিয়ে কান্না থামান ছোট্ট ছেলের।
বিকেল গড়ায়, স্মিতা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর আরও বাড়তে থাকে। ডাক্তার বলেন, হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে স্মিতা। কিন্তু স্মিতা নাছোড়বান্দা। ছোট্ট বাচ্চাকে ছেড়ে সে হাসপাতালে যাবে না। শেষমেশ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরের দিন মধ্যরাতে দুনিয়া কাঁপানো খবর। প্রয়াত অভিনেত্রী স্মিতা পাটিল।
