সলমন খান ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, বলিউডের অন্যতম চর্চিত জুটি। যাঁদের নিয়ে আজও জল্পনা তুঙ্গে। হাম দিল দে চুকে সনম ছবির সেটেই একে অপরকে মন দিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকেই বাড়ে সম্পর্কের গভীরতা। ততদিনে সলমন খান সোমি আলির সঙ্গে সম্পর্কে। তিনি আঁচ পেয়েছিলেন ঐশ্বর্যের অস্বিত্বর, তবে প্রাথমিকভাবে কিছু বুঝতে পারেননি। অতীতে এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন সোমি। তিনি জানান, উক্ত ছবির সেটেই একে অপরের মন দেওয়া-নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই বাড়ে প্রেম। তবে তিনি প্রাথমিকভাবে কিছু বুঝতে পারেননি। কয়েকদিন পর সলমনের বাড়ির পরিচারিকা, সোমিকে গোপনে খবর দিয়েছিলেন বাড়ছে ঐশ্বর্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা।
সোমির কথায়, ‘আমি তখনই বুঝেছিলাম, আমার সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছে’। সঞ্জয়ের ছবির শুটিংয়ের সময় থেকেই দুরত্ব বাড়তে থাকে সলমন এবং সোমির মধ্যে। তিনি বলেন, “শুটিংয়ের সময় আমি একবার সলমনকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু ও ফোন ধরেনি। তাই তখন আমি সঞ্জয়কে ফোন করি। উনি বলেছিলেন সলমন নাকি তখন শুটিং করছেন। এটা কী করে সম্ভব? পরিচালক ফোন তুলে কথা বলতে পারছেন। এদিকে ও পারছে না।” সে সময় সোমির সঙ্গে লিভইন সম্পর্কে ছিলেন সলমন। তার পরেও তখন ঐশ্বর্যর যাতায়াত বাড়ে ভাউজানের বাড়িতে। তাঁদের দুজনের মধ্য়ে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বাড়ির পরিচারকদের থেকে খবর পেতেন সোমি।
যদিও ঐশ্বর্যের সঙ্গে সম্পর্কও খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি সলমনের। মাত্র ২ বছরের মাথায় ভাঙে তাঁদের সম্পর্ক। তবে থেকে এই জুটি একে অপরের মুখোমুখি আর হননি। যদিও সকলেই এই জুটিকে আরও একবার পর্দায় একসঙ্গে দেখার আশা রাখে। তবে তা সত্যি হবে কি না, সে উত্তর সময়ই দেবে।