তিক্ততা চরমে? ফের বড় সিদ্ধান্ত শ্রাবন্তীর!

চরম থেকে চরমতর হয়ে উঠছে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং রোশন সিংয়ের মধ্যেকার তিক্ততা?

তিক্ততা চরমে? ফের বড় সিদ্ধান্ত শ্রাবন্তীর!
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়
Follow Us:
| Updated on: Dec 10, 2020 | 8:17 PM

চরম থেকে চরমতর হয়ে উঠছে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (srabanti chatterjee ) এবং রোশন সিংয়ের তিক্ততা? ইঙ্গিত তেমনটাই। ইনস্টাগ্রাম থেকে আগেই মুছে ফেলেছিলেন রোশনের সঙ্গে সমস্ত ছবি। এ বার ফেসবুকেও প্রায় একই কাণ্ড।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত বছর পুজোর সময় শেষ ছবি পাল্টেছিলেন শ্রাবন্তী। রোশনের সঙ্গে সিঁদুর খেলার ছবি দিয়েছিলেন তিনি। হাসি-হাসি মুখ। একে অপরকে জাপটে রয়েছেন। এ বছরের পুজোতে যখন প্রথমবার তাঁদের সম্পর্কের অবনতির খবর প্রকাশ্যে আসে তখনও ফেসবুকের ডিপি (ডিসপ্লে পিকচার) বদলাননি শ্রাবন্তী। বৃহস্পতিবার সকাল অবধি তাঁর প্রোফাইলে পিকচারে ছিল রোশনের ছবি। এ দিন বেলা গড়াতেই শ্রাবন্তী বদলে ফেললেন তাঁর ডিপি।

পরিবর্তে দিলেন শুধু নিজের ছবি। এমনকি কভার ফোটোতেও রোশ্ন বাদ। দিন কয়েক আগে তোলা তাঁর নতুন জিমের উদ্বোধনের দিন তোলা সাগর-নীল গাউন পরা ছবি। তাঁর কভার ফোটো ঘাঁটলে রোশনের সঙ্গে আর কোনও ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রোফাইল পিকচারের অ্যালবামে যদিও রোশনের সঙ্গে একটি ছবি এখনও রয়েছে। তবু গুঞ্জন ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। নেটিজেনদের একাংশের মতে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে।

srabanti chatterjee

ডিপিতে নেই রোশন।

আরও পড়ুন-ট্রোলাররা ট্রোল করে সংসার চালায়, ওদের পাত্তা দিই না: শ্রাবন্তী

এ বছর করওয়া চৌথের সময় এক সংবাদমাধ্যমকে রোশন প্রথম জানান, আর একসঙ্গে থাকছেন না তাঁরা। যদিও ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত সে বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি শ্রাবন্তী নিজে। তবে ইনস্টাতে দু’জন দু’জনকে আনফোলো করা, ছবি মুছে ফেলা ইত্যাদি ঘটনাই আভাস দিচ্ছে কিছুই ঠিক নেই। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অভিনেত্রীকে নিয়ে ঘুরছে নানা রং চড়ানো খবর, হচ্ছেন ট্রোলড। ব্যক্তিগত টানাপড়েন নিয়ে মুখ না খুললেও ওই নেমিং-শেমিং সম্পর্কে শ্রাবন্তীর বক্তব্য, “ওরা ট্রোল করেই সংসার চালায়, পয়সা রোজগার করে। আমি জাস্ট পাত্তা দিই না”

২০১৯ সালে চুপিসারে বিয়ে সেরেছিলেন শ্রাবন্তী এবং রোশন। শ্রাবন্তীর আগের দুই বিয়ে সুখের হয়নি। তাই জ্যোতিষীর পরামর্শে জন্মস্থান থেকে দূরে পঞ্জাবে (রোশনের জন্মস্থান) বিয়ে করেছিলেন ওঁরা।