আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। এর পরেই আছড়ে পড়বে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তার আগেই সামাজিক মাধ্যমে এক আর্তি রেখেছেন শ্রীলেখা মিত্র। আপাতত তাঁর একটাই চাওয়া, ‘ওদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দেবেন না’। কাদের জন্য এত চিন্তিত শ্রীলেখা? তাঁরা আর কেউ নন, রাস্তার অবলা পশুপাখি কুকুর বেড়াল। শ্রীলেখার পোস্টে লেখা, “ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাড়িতে কুকুর, বিড়াল আশ্রয় নিতে এলে অমানবিকের মতো তাদের তাড়িয়ে দেবেন না। তাদেরও প্রাণ আছে, মৃত্যুর মুখে তাদের ঠেলে দেবেন না।”
বরাবরই পোষ্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল শ্রীলেখা। তাঁদের জন্য বহুবার জোর গলায় প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। করেছেন থানা পুলিশও। এই দুঃসময়ে তাদের একটু জায়গা হোক, এমনটাই আর্জি তাঁদের।
প্রসঙ্গত, এ দিন দুপুরে আবহাওয়ার দফতরের বুলেটিন জানিয়েছিলেন স্থলভাগ থেকে ২০০ কিমি দূরে আছে রেমাল। মৌসম ভবন জানাচ্ছে, বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের কাছাকাছি রবিবার মাঝরাতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। মোংলা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এর ল্যান্ডফলের প্রবল সম্ভাবনা। সেই সময় তার গতিবেগ থাকবে ১১০ থেকে ১২০ সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। নিস্তার নেই বাংলাতেও। সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। সোমবার থেকে ঝড়-বৃষ্টির দাপট উত্তরবঙ্গেও। বাংলায় লাল সতর্কতা জারি মৌসম ভবনের। কলকাতা-সহ ৬ জেলায় আজ লাল সতর্কতা।