AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আমি সত্যি আতঙ্কিত…’, কৃষভির সঙ্গে এ কী ঘটে? চিন্তায় শ্রীময়ী

কলকাতা পুলিশের এক সতর্ক বার্তা। কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে চোখ রাখলেই দেখা যাবে সোমবার তাদের পক্ষ থেকে একটি সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। যেখানে বাড়ির ভাড়াটিয়া কিংবা পরিচারিকা নির্বাচনের বিষয় সজাগ থাকার নির্দেশ দেন তারা।

'আমি সত্যি আতঙ্কিত...', কৃষভির সঙ্গে এ কী ঘটে? চিন্তায় শ্রীময়ী
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2025 | 7:54 PM
Share

বর্তমানে অধিকাংশ পরিবারই নিউক্লিয়ার। অর্থাৎ, একান্নবর্তী পরিবারে সন্তানদের বেড়ে ওঠার সুযোগ খুব কম। মা-বাবা কর্মরত। যার ফলে অধিকাংশ সন্তানেরই সময় কাটছে বাড়ির পরিচারিকার কাছে। বিশ্বাস করে, পরিস্থিতির চাপে এই পথ বেছে নিতে হচ্ছে অনেককেই। কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টোরাজও ব্যতিক্রম ছিলেন না। তাঁদের কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার পর তাঁরা এক পরিচারিকাকে রেখেছিলেন সন্তানের দেখা শোনা করার জন্যে, কিন্তু তাতেই ঘটেছিল বিপত্তি। প্রাথমিকভাবে শ্রীময়ী লক্ষ করেন ঘরের কিছু জিনিস হারাতে শুরু করেছে। সন্দেহ বাড়লে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, তাঁর পরিচারিকার পরিচয় নিয়ে বেশ সন্দেহ রয়েছে। অর্থাৎ প্রশ্নের উত্তরে একাধিক অসংলগ্ন কথা। তবে এই ঘটনা সম্প্রতিতে ঘটেনি, বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা। তবে এখন কেন নতুন করে এই প্রসঙ্গ উঠছে?

কারণ কলকাতা পুলিশের এক সতর্ক বার্তা। কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে চোখ রাখলেই দেখা যাবে সোমবার তাদের পক্ষ থেকে একটি সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। যেখানে বাড়ির ভাড়াটিয়া কিংবা পরিচারিকা নির্বাচনের বিষয় সজাগ থাকার নির্দেশ দেন তারা। সেখানে লেখা, “ভাড়াটিয়া ও গৃহকর্মীর যাচাইকরণ অত্যন্ত জরুরি। এটি শুধু একটি নিয়ম নয়, আমাদের নিরাপত্তার জন্যও অপরিহার্য। যাচাইকরণ না হলে অপরাধীরা সুযোগ নিতে পারে। সময়মতো যাচাই সম্পন্ন করলে চুরি, প্রতারণা বা অন্যান্য অপরাধ অনেকটাই রোধ করা সম্ভব।”

বিষয়টা চোখে পড়তেই শ্রীময়ী চট্টোরাজের সঙ্গে TV9 বাংলা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “আজকাল যেহেতু বিভিন্ন সেন্টার থেকে পরিচারিকা আসে, অধিকাংশ সময় দেখা যাচ্ছে সেন্টার সঠিক খোঁজ নিয়ে পরিচয় পত্র দেখে আয়াদের পাঠাচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে আধার কার্ড চাইলেও ভুল তথ্য থাকে। এই বিষয়গুলো আমার মনে আতঙ্ক তৈরি করেছে। সম্প্রতি আমরা পাহাড়ে গিয়েছিলাম। সেখানে মেয়ের প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে আমরা লক্ষ্য করি গিজারের জল দিয়ে বাচ্চার খাবার তৈরি করা হচ্ছে। এমন ঘটনা একবার নয়, একাধিকবার ঘটেছে। কখনও হাইজিনের সমস্যা থাকছে, কখনও বাচ্চাকে দেখার বদলে, ঘন্টার পর ঘন্টা ভিডিয়ো কলে কথা বলছে। এই বিষয়টা নিয়ে আমি সত্যি আতঙ্কিত। প্রতিটা বাবা-মায়ের আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত, আর আয়া সেন্টারগুলোকে অনেক বেশি সজাগ থাকতে হবে।”