ছাদ। শতরঞ্জি। চৌকি। বেল, রজনীগন্ধা। ধূপ। তবলা। হারমোনিয়াম। মাইকের সাউন্ড। আর রবি ঠাকুর।
ঘর। ল্যাপটপ। ওয়েব ক্যাম। গুগল মিট। অডিও অন। ভিডিও অন। অভিভাবকদের ফিসফিস। আর রবি ঠাকুর।
করোনা হার মানছে রবীন্দ্রচর্চার কাছে। বেশকিছু স্কুলের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজন করা হচ্ছে রবীন্দ্রজয়ন্তী। গুগল মিটেই হয়েছে লাগাতার রিহার্সাল। গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের ছোট থেকে বড় সকলেই সমবেত সংগীত থেকে শুরু করে সমবেত নৃত্য সবকিছুই করেছে অনলাইন।
ক্লাস টু এর মধু রাই , অ্যালি , দময়ন্তী, মধুমন্তি , আমাত্রা , প্রত্যুষা, শরণ্যা সকলে মিলে গেয়েছে পুরানো সেই দিনের কথা । তার আগে তারা জানিয়েছে পুরনো সেই স্কুলে যাওয়ার দিন গুলোকে তারা মিস করছে খুবই। স্কুলের অধ্যক্ষ ইন্দ্রাণী মিত্র পড়াশোনার এই নতুন প্ল্যাটফর্মকে মেনে নিতেই বলছেন। তাঁর কথায়, “চির নূতনের দিল ডাক ২৫শে বৈশাখ । রবি ঠাকুরের গানেই যেন বাস্তব লুকিয়ে আছে। সবই এক। খালি মাধ্যমটাই যা বদলে গেছে। আমাদের মেয়েরা অনলাইনেও পালন করছে রবীন্দ্র জয়ন্তী। গতবছর থেকে।”
আরও পড়ুন- বাস্তবে এই কঠিন সময়ে আমি তো বলব, রবীন্দ্রনাথের হাত ধরা যাচ্ছে না: ইমন চক্রবর্তী
বিশেষজ্ঞ পায়েল ঘোষ হেসে বললেন, “এটা একটা দমকা হাওয়া, কালবৈশাখীর মত। গতানুগতিক জীবন থেকে বেরিয়ে নতুন কিছু করা। হোক না ভার্চুয়াল। সমবেত সঙ্গীতও হচ্ছে। একে অন্যের সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলছে। এই পরিস্থতিতে এটাই অনেক।”
তবে অনুষ্ঠান শেষে ছোট্ট মিষ্টির বাক্সে একটা সিঙ্গারা আর ক্ষীর কদম খুব মিস করেছেন অনেকেই। ওটা তো আর ভার্চুয়াল হয় না।