৯ ফেব্রুয়ারি, শুরু হয়েছিল TV9 বাংলা আয়োজিত ‘লাইফস্টাইল এক্সপো’। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গনে হইহই করে চলল গানবাজনা, খাওয়া-দাওয়া, কেনাবেচার, ভারতের অন্যতম বড় প্রদর্শনী, যেখানে নিত্যদিন সেলেবদের ছিল আনাগোনা। শেষদিনে আরও জমে উঠল আসর। সামনেই সরস্বতীপুজো, প্রেমদিবস, তারই আমেজ গায়ে মেখে শহর কলকাতার বুকে সেজে উঠেছিল ‘লাইফস্টাইল এক্সপো’। শেষদিনে সেই সেলিব্রেশনে যোগ দিল টিম ‘পারিয়া’। রবিবার বিকেল বিকেল ছবির অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ছবির পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়সহ গোটা টিম হাজির মিলন মেলা প্রাঙ্গনে। আর সেখানে এসেই সদ্য মুক্তি প্রাপ্ত ছবি পারিয়া নিয়ে কথা বললেন তাঁরা TV9 বাংলায়।
TV9 বাংলা ‘লাইফস্টাইল এক্সপো’ যেদিন শুরু হয়, সেদিনই মুক্তি পায় বাংলা ছবি টিম পারিয়া। পশুপ্রেম নিয়ে এক অন্যস্বাদের ছবি। এদিন বিক্রম ছবির দর্শকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে বলেন, ”আমরা পায়িরার অংশ, আমরা টিমের সদস্য, আমাদের তো ভাল লাগবেই। প্রথম শুক্রবার আমরা একটু ভয় ভয় ছিলাম, তেমন একটা প্রতিক্রিয়া পাচ্ছিলাম না, বুঝতে পারছিলাম না, মানুষের কেমন লাগছে, মানুষ আসবে কি না, শনিবার একটু ভাল, সাতটা শো হাউসফুল ছিল। আজ রবিবার এখনও পর্যন্ত জানি প্রায় ১৬-১৭টা শো হাউসফুল। আমরা জানি, বাংলা ছবি মুখের কথা প্রচারের আলোয় আসে। সেখানে দাঁড়িয়ে মাত্র তিন দিনেই এই প্রতিক্রিয়া, দারুণ লাগছে। দর্শকদের প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ। এই ছবি মানুষের আবেগ নিয়ে কথা বলে, পশু পাখির প্রতি তাঁদের ভালবাসা নিয়ে কথা বলে, সেটার সঙ্গে যে মানুষ রিলেট করতে পারছেন, এটাই বড় পাওয়া।”
এই ধরনের চরিত্রে তাঁকে খুব একটা দেখা যায় না, শান্ত বেশ বদলে তিনি অ্যাকশন হিরো, এই প্রসঙ্গে বিক্রম বলেন, ”দেখতে একেবারে অন্যরকম লেগেছে। ত্বকের রঙটা একটু চাপা হয়েছিল। তামাটে করতে হয়েছিল রঙটা, চেহারায় অনেকটা পরিবর্তন আনতে হয়েছিল, পরিচালকের এই চরিত্রটাকে নিয়ে যেমন পরিকল্পনা ছিল, তাকে আমার মতো দেখতে হলে খুব একটা মানানসই হত না। একটা মানসিকতার বদল ঘটাতে হয়েছিল।”
না, কেবল পর্দায় নয়, নিজেও ভীষণ পোষ্যপ্রিয় এক মানুষ বিক্রম। এদিন এক্সপোতে এসে তাদের কথা শেয়ার করতেও ভুললেন না অভিনেতা। তাঁর কথায়, ”আমার বাড়িতেও চারটে পোষ্য রয়েছে। আমার বাড়ির নিচে আরও সাত আটজনকে খাওয়ানো হয়, চিকিৎসা করানো হয়। এরজন্য আমি আমার মা-বোনকে অনেক ধন্যবাদ জানাব, কারণ আমার বিশ্বাস আমার যে এই পশু প্রেম, তা আমি ওদের থেকে পেয়েছি। আমার মা বোন বহু বছর ধরে এদের সেবা করছেন। তাঁরা তাঁদের এই জার্নিতে কেমন কেমন মানুষ পেয়েছেন, কেমন কেমন ব্যবহার পেয়েছেন, সেগুলো আমার খুব কাছ থেকে দেখা। সেই জন্যই পারিয়াতে এই পরিশ্রম আমার একটুও গায়ে লাগেনি।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়ের মুখেও এদিন খেলল হাসি। ছবি প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ”আমার এখনও পর্যন্ত মুক্তিপাপ্ত বাংলা ছবি ‘ভটভটি’। খুব স্বাভাহিক কারণেই ছবিটা মানুষের কাছে সেভাবে পৌঁছতে পারেনি। হল পাওয়া থেকে শুরু করে অনেক সমস্যা এসেছিল। এটা আমার দ্বিতীয় ছবি। একটা নতুন ধরনের অ্যাকশন নিয়ে ছবি বানাতে চেয়েছিলাম। আমি বিষয় খুঁজছিলাম, নবারুণ লুব্ধক আর সারমেয় নিয়ে একটা ব্রিজ তৈরি করার চেষ্টা করি। এই বিষয়গুলোকে এতটা কাছ থেকে দেখেছি, যে কখনও মাথাতেই আসেনি যে এটা নিয়ে তো ছবি হতে পারে। অ্যাকশনের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে যখন দেখেছিলাম, তখন মাথায় আসে আরে, এগুলো তো আমার চেনা।” দেড় বছর আগে বিক্রমের সঙ্গে এই নিয়ে কথা হয়। পাশাপাশি অহনাও প্রথম কাজ হওয়ায় বেজায় আবেগঘন হয়ে জানান, তিনি এই ছবি থেকে অনেককিছুই শিখলেন।