Sayantani Wedding: সায়ন্তনীর বউভাত জয়পুরে, পুরো আয়োজনই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের

দীর্ঘদিনের প্রেমিক অনুগ্রহ তিওয়ারিকে বিয়ে করেছেন বলিপাড়ার বাঙালি অভিনেত্রী সায়ন্তনী ঘোষ।

Sayantani Wedding: সায়ন্তনীর বউভাত জয়পুরে, পুরো আয়োজনই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের
সায়ন্তনী ঘোষ ও অনুগ্রহ তিওয়ারি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 17, 2021 | 9:44 PM

এখনও ভিকি ও ক্যাটরিনার বিয়ের গন্ধ পুরোপুরি যায়নি রাজস্থান থেকে। তারই মধ্যে আরও একটি সেলেব বিয়ের অনুষ্ঠান। অভিনেত্রী সায়ন্তনী ঘোষ ও অনুগ্রহ তিওয়ারির বিয়ের রিসেপশন জয়পুরেই।

দীর্ঘদিনের প্রেমিক অনুগ্রহ তিওয়ারিকে বিয়ে করেছেন বলিপাড়ার বাঙালি অভিনেত্রী সায়ন্তনী ঘোষ। কিছুদিন আগেই ধুমধাম করে তাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। জয়পুরের ছেলে অনুগ্রহ। সুতরাং, সেই শহরেরই বধূ হয়েছেন সায়ন্তনী। তাঁর দ্বিতীয় বাড়ি এখন গোলাপি শহর।

View this post on Instagram

A post shared by anugrah (@anugrah0070)

কিছুদিন আগে কলকাতায় বিয়ে করেছেন সায়ন্তনী। বিয়েতে গোলাপি রঙের বেনারসী পরেছিলেন অভিনেত্রী। পরেছিলেন সাবেকি গয়নাও। দারুণ দেখতে লাগছিল তাঁকে। সায়ন্তনী বলেছেন, “আমার মনে হয় না অনেক কিছু পালটেছে। আমি একটু প্রেশারে ছিলাম। ফলে বিয়ের পর কোনওরকমের পরিবর্তনও অনুভব করছি না। এর কারণ হয়তো আমি আর অনুগ্রহ একে-অপরকে অনেকদিন ধরে চিনি। আমাদের পরিবারও একে-অপরকে অনেকদিন ধরেই চেনে। মানসিকভাবে কোনও পরিবর্তন অনুভব করছি না। এখন একই ঘরের ছাদে বসবাস করছি দু’জনে। আমি মঙ্গলসূত্র পরছি গলায়। সিঁদুর পরছি। মনে হচ্ছে, আমি তো শুটিং করছি না। এটাই এখন বাস্তবেই ঘটছে। এই অনুভূতি মুখে ব্যক্ত করা কঠিন।”

‘কুমকুম: পেয়ারা সা বন্ধন’, ‘নাগিন ৪’, ‘নামকরণ’-এর মতো ধারাবাহিকে কাজ করেছেন সায়ন্তনী। ‘বিগ বস সিজ়ন ৬’-এ অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ‘ব্যারিস্টার বাবু’-তেও ছিলেন। ৮ বছর আগে অনুগ্রহর সঙ্গে দেখা হয় সায়ন্তনীর। এক বন্ধুই আলাপ করিয়েছিল তাঁদের। বলেছেন, “৮ বছর ধরে প্রেমপর্ব চলেছে আমাদের। গত দেড় বছর ধরে পরিকল্পনা করছিলাম বিয়ে করব। প্যান্ডেমিকের কারণে পিছিয়ে গিয়েছে সবটাই। কিন্তু ঈশ্বরের আশীর্বাদে এবছর বিয়েটা হয়ে গেল।”

বিয়ে বউয়ের বাড়িতে হয়। প্রথা অনুযায়ী বরের বাড়িতে হয় ‘বউভাত’ বা রিসেপশন। জয়পুর যেহেতু অনুগ্রহর জন্মস্থান, সেখানেই সেখানেই রিসেপশন। সায়ন্তনী বলেছেন, “জয়পুর আমার খুব প্রিয় শহর। অনুগ্রহর সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে থেকেই এই শহরে আসা-যাওয়া ছিল আমার। আমি কলকাতার মেয়ে। শিল্প ও সংস্কৃতির দিক থেকে কলকাতা অনেক এগিয়ে। আমি নিজেকে ‘দেশি’ মেয়ে বলতেই পছন্দ করি। ফলে দেশের মধ্যে যে সব জায়গার শিল্প ও সংস্কৃতি উন্নত, আমাকে আকর্ষণ করে। ফলে জয়পুরের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারি। ওখানকার খাবার, গয়না, বাড়িঘর আমাকে টানে। অনেকটাই দেখে নিয়েছি শহরটাকে। অনুগ্রহর সঙ্গে বাকিটা দেখব। নগরগড় দুর্গো, জলমহল আমার প্রিয় জায়গা। ফের যাব সেখানে।”

আরও পড়ুন: Sreelekha Mitra: প্রেমিক না থাকার দুঃখে শ্রীলেখা, ‘বাবু’ বলে ডাকতে চান যাঁকে, বলতে চান ‘টাটা’