AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sudipa Chatterjee: হ্যাকারের কোপে সুদীপার পেজ, একের পর এক অশালীন ছবি শেয়ার

সাম্প্রতিক কালে ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল সুদীপাকে। হয়েছিলেন জনরোষের স্বীকার। থমে অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে নিয়ে কুৎসিত ইঙ্গিত ও পরে তাঁর একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।

Sudipa Chatterjee: হ্যাকারের কোপে সুদীপার পেজ, একের পর এক অশালীন ছবি শেয়ার
সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2022 | 12:03 AM
Share

অঙ্কুশ বিতর্ক কাটতে না কাটতেই আবারও নতুন সমস্যায় সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। হ্যাকারের কবলে তাঁর ফেসবুক পেজটি। শেয়ার করা হয়েছে একের পর এক অশালীন ছবি। তাতে নারী শরীর থেকে শুরু করে গোপনাঙ্গের ছবি– বাদ নেই কিছুই। মোট তিনটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে আর ওই তিন ছবিতেই কদর্য মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে হ্যাকার। সুদীপাও বিড়ম্বনায়।

সাবধান করেছেন তাঁর অনুরাগীদের। নিজের প্রোফাইল থেকে জানিয়েছেন হ্যাক হওয়ার খবর। একই সঙ্গে কোনও রকম পোস্ট চোখে পড়লে তা আপাতত এড়িয়ে যেতেই অনুরোধ তাঁর। স্বামী অগ্নিদেবও একই কথা শেয়ার করেছেন নিজের সামাজিক মাধ্যমে। একই সঙ্গে অগ্নিদেব জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই সাইবার সেলে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে চলেছেন।

সাম্প্রতিক কালে ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল সুদীপাকে। হয়েছিলেন জনরোষের স্বীকার। থমে অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে নিয়ে কুৎসিত ইঙ্গিত ও পরে তাঁর একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। এখানেই শেষ নয়, অনেকে আবার অভিনেত্রীকে বয়কট করারও ডাক দিয়েছেন।

কোথা থেকে ঘটনার সূত্রপাত? দিন কয়েক আগেই অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সুদীপা। সেখানে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ব্রাদার ফ্রম অ্যানাদার মাদার’। অর্থাৎ অন্য মায়ের সন্তান হলেও আমার ভাই। এর পরেই সেখানে এক নেটিজেন অঙ্কুশের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে সুদীপাকে লেখেন, ‘ইনি কি আপনার নতুন স্বামী’? উত্তরে সুদীপা লেখেন, “কী মজাদার, ভগবান আপনার মঙ্গল করুন”। ব্যাপার যদিও এখানেই থামেনি। খানিক পরেই ওই পোস্টের মন্তব্য বক্সে এক ব্যক্তি সুদীপাকে তাঁর গলার হার সংক্রান্ত এক প্রশ্ন করেন। জিজ্ঞাসা করেন, “শাড়িটা কি ঢাকাই, নেকলেস টা কি রুপোর”? সাদা মাঠা প্রশ্ন। কিন্তু সেই মহিলাকে ট্যাগ করে সুদীপা উত্তর দেন, “আমি জানি না বাংলা ভাষাটা আজকাল এত কঠিন হয়ে গ্যাছে। কারও কারও কাছে যে সহজ সরল বাংলা ভাষা বা সামান্য ইংলিশ তাঁরা বোঝেন না… আমি ফেক জুয়েলারি পরি না। এখানে সোনা রূপো দুটোই আছে। মানুষ বড্ড অশিক্ষিত। গেট অ্যা লাইফ।”

এর পরেই কার্যত সুদীপাকে তুলোধনা করে নেটিজেন। কী করে সোনা রূপো ছাড়া অন্য গয়নাকে তিনি ‘ফেক’ বলতে পারেন প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এক লাইভেও পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন সুদীপাও। তিনি বলেছিলেন, নীরবতা মানে দুর্বলতা নয়। মানুষকে আঘাত করার মধ্যে কি বীরত্ব আছে? মানুষকে ভালবাসুন।” বলেছিলেন, “আমাকে ভাঙা সহজ নয়। ট্রোল করলে দুঃখ পাব। কিন্ত অভ্যেস হয়ে যাবে। এগিয়ে যাব।” এরপরেই এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা। নিছকই কাকতালীয়?