AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সত্যজিতের জন্য আত্মহত্যার চেষ্টা, ৬০টা ঘুমের ওষুধ খান মাধবী, তারপর?

Tollywood Inside: সাংবাদিক এস এন এম আবদি ১৯৯২ সালে মাধবীর এক সাক্ষাৎকার নেন। সেই সাক্ষাৎকারেই এমন সব কথা বলেছিলেন মাধবী যা হয়তো আপনি ভাবতেও পারবেন না। ত্যাগ, মুক্তি, ভালবেসে চলে যাওয়ার কে অপূর্ণ আখ্যান শুনে কে বলতে পারে হয়তো দ্রব হয়ে উঠতে পারে আপনার চোখও।

সত্যজিতের জন্য আত্মহত্যার চেষ্টা, ৬০টা ঘুমের ওষুধ খান মাধবী, তারপর?
ঘুমের ওষুধ খেয়ে প্রাণ দিতে চান মাধবী
| Edited By: | Updated on: Feb 12, 2024 | 3:48 PM
Share

মাধবী মুখোপাধ্যায় ও সত্যজিৎ রায়– দু’জনেই তাঁরা লেজেন্ড। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন নিজস্ব স্বকীয়তায়। তাঁদের গুণগ্রাহী সংখ্যাও নেহাত কম নয়। আর গুঞ্জন? সে সময় সামাজিক মাধ্যম ছিল না। ছিল না ইনস্টা, ফেসবুকের কড়াকড়ি। ছিল না পাপারাৎজি। তাই কিছু সম্পর্ক নিভৃতেই শুরু হয়ে যেন শেষ হয়ে যায়। এমনই এক সম্পর্ক মাধবী মুখোপাধ্যায় ও সত্যজিৎ রায়ের। বিবাহিত পরিচালকের প্রতি মাধবীর অমোঘ প্রেম যখন তাঁকে বাধ্য করেছিল নিজেকে শেষ করে দেওয়ার প্রচেষ্টা নিতেও। না, এ নেহাতই গসিপ নয়।

সাংবাদিক এস এন এম আবদি ১৯৯২ সালে মাধবীর এক সাক্ষাৎকার নেন। সেই সাক্ষাৎকারেই এমন সব কথা বলেছিলেন মাধবী যা হয়তো আপনি ভাবতেও পারবেন না। ত্যাগ, মুক্তি, ভালবেসে চলে যাওয়ার কে অপূর্ণ আখ্যান শুনে কে বলতে পারে হয়তো দ্রব হয়ে উঠতে পারে আপনার চোখও। মাধবী যে সময় সত্যজিতের প্রেমে পড়েন সে সময় বিজয়া রায়ের সঙ্গে ঘোর সংসারী পরিচালক। তাই ভালবেসেও নিজের অধিকার চাপাতে চাননি তিনি। সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “একজন মহিলা হয়ে আর এক মহিলার ক্ষতি কী করে করব? এক বার আত্মহত্যা চেষ্টা করি। ৬০টি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলাম। আমায় মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করানো হয়েছিল। হাসপাতালে চার দিন অচৈতন্য ছিলাম। বিষয়টি গড়িয়েছিল থানা-পুলিশও। তবে সামাজিক মাধ্যমের দৌরাত্ম্য ছিল না বলে তা নিয়ে বিশেষ হইচই হয়নি।

কিন্তু আত্মহত্যা কেন? মাধবী বলেছিলেন, “ওর নাম আমার নামের সঙ্গে জুড়ে ওর চরিত্র কলুষিত করা হচ্ছিল। মনে হয়েছিল নিজেকে শেষ করে দিতে পারলেই সব সমস্যার সমাধান।” সে সময় বিয়ে হয়নি মাধবীর। ভালবাসতেন যে মানুষটাকে তিনি বিবাহিত ছিলেন। এই ভালবাসা কি শুধুই একতরফা ছিল নাকি অপরদিকের মানুষটারও ছিল এক অপরিসীম টান? মাধবী মনে করেন, তাঁকেও ভালবাসতেন সত্যজিৎ। তবেনিজের বিবেক তাঁকে আটকেছিল। ‘হোম ব্রেকার’ তকমা নিজের কাঁধে নিতে চাননি কোনওদিনই। সরে আসেন নিজে থেকেই।

দু’জনে কোনওদিনই প্রকাশ্যে এই গুঞ্জন নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে সত্যজিতের স্ত্রী বিজয়া রায় তাঁর আত্মজীবনী ‘আমাদের কথা’-য় লিখেছেন এই গুঞ্জন তাঁকে কষ্ট দিয়েছিল। কোনও অভিনেত্রীর নাম কিন্তু তিনি নেননি। গতকাল অর্থাৎ শনিবারই ছিল মাধবীর জন্মদিন। শরীরটা বিশেষ ভাল নেই তাঁর। ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছেন, জানিয়েছিলেন টিভিনাইন বাংলাকে। অতীত ঘেঁটে দেখার অভ্যেস কোনওদিন ছিল না তাঁর। ত্যাগের মন্ত্রেই যে দীক্ষিত বাংলার ‘চারুলতা’।