সোমবার (০৬ মে, ২০২৪) তীব্র দাবদাহের মধ্যে দু’দণ্ড শান্তি দিয়েছিল কয়েক পশলা বৃষ্টি। গোটা শহর জুড়ে সোমবার যা হল, তা যেন তপ্ত গরমে ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল প্রিকলি হিট পাউডারের এফেক্ট। শান্তি পেল শহর কলকাতা। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে সন্ধ্যাবেলায়। সব কাজ ভুলে মানুষ ভিজেছে ভীষণ। কিন্তু সেই বৃষ্টি নাকানি-চোবানি খাইয়েছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। তিনি ব্যস্ত মানুষ। শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
ভিডিয়োটি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শুটিংয়ের ব্যস্ততা তাঁকে সবসময় ঘিরে ধরে। গরমেও খুবই কষ্ট পাচ্ছিলেন টলিউড-কুইন। সোমবার ভোরেই সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছেন কলকাতায়। রাত পর্যন্ত শুটিং করেছেন। শুটিংয়ের প্যাকআপের পর ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। নোংরা জলে পা চোবানোর পরেও তাঁর মনে ভেসে উঠল ‘বর্সো রে মেঘা’। ভিডিয়ো পোস্ট করে ‘রাবণ’ ছবির এই গান ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজাতে বলেননি অভিনেত্রী।
তাঁর ভিডিয়ো পোস্ট হতেই অনুরাগীদের চিন্তার শেষ নেই। ঋতুপর্ণার মতো সুপারস্টার যদি রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে থাকেন, অনুরাগীদের বুকে ব্যথা হওয়ারই কথা। খুবই যন্ত্রণা পেয়েছেন সকলে। প্রিয় নায়িকাকে জলের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়েছে দেখে কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনকে প্রকাশ্যে গালিগালাজও দিয়েছেন কেউ-কেউ। অনুরাগীদের দুঃখ, “জল বেরোতে হচ্ছে। এরকম অবস্থা রাস্তাঘাটের।”
কিন্তু তাতে কী! দু’পশলা বৃষ্টি যে শহরটাকে এভাবে ভাসাবে, তা কি কেউ ভাবতে পেরেছিলেন। বৈশাখ মাসের কালবৈশাখী ঋতুপর্ণার মনটাকেও ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তিনি হয়তো মনে-মনেও গেয়েছেন ‘বারসো রে মেঘা মেঘা, বারসো রে মেঘা মেঘা, বারসো রে মেঘা বারসো…’।