“আচ্ছা, আপনি তো তৃণমূল, আপনি তো সিপিআইএম সমর্থক, রাজনৈতিক মতাদর্শ কি আপনাদের কাজের ক্ষেত্রে বিভেদ সৃষ্টি করে?” এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে অনেক তারকাকেই। আজ দিনভর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরচ্ছে। ৪ জুন আজই। প্রতিবারের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক প্রার্থী সিনেমা জগতের প্রতিষ্ঠিত মুখ। যেমন যাদবপুরের সেলিব্রিটি প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে প্রার্থী হিসেবে টিকিট দিয়েছিল রাজ্য শাসক দল। ২০২৪ সালে মিমি সরে দাঁড়িয়েছেন রাজনীতির ময়দান থেকে। সেই স্থানেই সায়নীকে প্রার্থী করা হয়েছে সিপিআইএমের জনপ্রিয় তরুণ নেতা সৃজন ভট্টাচার্যর বিপরীতে। সায়নী এবং সৃজনের এই লড়াই সকাল থেকে দেখছেন পরিচালক অনীক দত্ত। অনীক বরাবরই বাম সমর্থক। শাসকদলের বিপক্ষে গর্জে উঠতে কখনওই কুণ্ঠিত নন তিনি। সায়নী আবার তাঁর খুবই প্রিয় অভিনেত্রী। বারংবারই সায়নীকে তিনি কাস্ট করেছেন তাঁর ছবিতে। অন্যদিকে সৃজন তাঁর স্নেহের পাত্র। সায়নীর আসন্ন জয় এবং সৃজনের পরাজয় নিয়ে সকাল থেকেই নানা ভাবনাচিন্তায় মগ্ন অনীক যা বললেন TV9 বাংলা ডিজিট্যালকে।
২০২২ সালে তাঁর ‘অপরাজিত’ ছবিতে সায়নীকে সত্যজিৎ রায়ের স্ত্রী বিজয়া রায়ের চরিত্রে কাস্ট করেছিলেন অনীক। ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অনীক দত্ত পরিচালিত ‘ভবিষ্যতের ভূত’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন সায়নী। নানা ধরনের রাজনৈতিক খোঁচা থাকার কারণে ছবিটিকে সিনেমা হল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আঙুল ওঠে শাসকদলের দিকে। সেই সময় শাসকদলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন সিনেমাটির সঙ্গে যুক্তি শিল্পী এবং কলাকুশলীরা। সায়নীও অনেক কথা বলেছিলেন শাসকদলের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে সেই সায়নীই যোগদান করেন শাসকদল তৃণমূলে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে আসানসোল থেকে লড়েছিলেন সায়নী এবং পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। সেই পরাজয়ের পর পুরস্কার স্বরূপ সায়নীকে তৃণমূল থেকে সর্বভারতীয় স্তরে যুবনেত্রী ঘোষণা করা হয়। এ হেন সায়নী যদি এবারের লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরে জিতে যান, অনীকের কী প্রতিক্রিয়া হবে?
অনীক বলেছেন, “দেখুন, আমি সবসময়ই সৃজনকে ব্যাক করব। সায়নী ভাল অভিনেত্রী। সেই জন্যই তাঁকে আমি আমার ছবিতে কাস্ট করেছিলাম। কিন্তু সৃজন যে ধরনের প্রার্থী এবং যে দলের ও প্রতিনিধিত্ব করে, সেটাকে আমি ব্যাক করবই। কিন্তু সায়নী জিতলে ব্যক্তিগতভাবে আমি ওকে অভিনন্দন জানাব। তবে ওর পার্টিকে সমর্থন করতে পারব না।”