বাংলা সিরিয়ালের অভিনেতাদের খুব একটা শর্টলেস হতে দেখা যায় না। তাঁরা কখনওই উলঙ্গ দেহে ছবি পোস্ট করেন না সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। কিন্তু এই ব্যক্তি খানিক ব্যতিক্রম। ব্যক্তির নাম সুদীপ মুখোপাধ্যায়। তিনি একজন নামকরা বাঙালি অভিনেতা। বাংলা সিরিয়াল জগতে তো বটেই, বাংলা সিনেমাতেও তাঁর কদর কম নয়। এই সুদীপ শর্টলেস হয়ে ছবি পোস্ট করেছিলেন instagram-এ। এবং ছবি পোস্ট করার পর জানিয়েছিলেন, তাঁর উন্মুক্ত-সুঠাম দেহের রহস্য।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে নয়। কঠোর ডায়েট করেও নয়। ৫ মাস টানা ৩০ মিনিট যোগাভ্যাস করে ৫০ ছুঁইছুঁই অভিনেতা তৈরি করেছেন এই পেটানো শরীরটা। এবং ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট কিছু ছবি পোস্টও করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। এমন শরীর তিনি তৈরি করেছেন, যা দেখে ২০ বছরের যুবকও লজ্জা পেয়ে যেতে পারেন।
লম্বা একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সুদীপ লিখেছিলেন, তাঁর অনাবৃত সুন্দর দেহ তৈরির রহস্য। কীভাবে এমন শরীর পেলেন সুদীপ? অভিনেতা লিখেছিলেন, “আমি এরকম অনাবৃত দেহের ছবি পোস্ট করার পক্ষপাতি নেই। এই প্রথম এমন ছবি পোস্ট করছি সোশ্যাল মিডিয়াতে। এর পিছনে একটা কারণ আছে। আমি মনে করি, কেউ অল্পদিন বেঁচে সকলের কাছে হিরো হতে পারেন। আবার কেউ বেশিদিন বেঁচে হতে পারেন ভিলেনও। লকডাউনে বাড়িতে বসে থাকার সময় আমার হাতে দুটো অপশন ছিল। এক–আমি ফুলে আলুর দম হয়ে যাব। দুই–নিজের শরীরটাকে দুর্দান্ত সুন্দর তৈরি করব। আমি দ্বিতীয়টাই বেছে নিই। ৫ মাস ধরে নিয়মিত ৩০ মিনিট যোগাভ্যাস করেছি আমি। ২০ কেজি ওজন কমিয়েছি ওই করেই। আর দেখুন আপনাদের সামনে আমি দাঁড়িয়ে আছি। এখন এটাই আমার চেহারা। আগের ওই মোটাসোটা চেহারাকে গুলি মেরেছি। স্থুলকায় ফিজ়িক থেকে ঝরঝরে হাওয়া চাট্টিখানি কথা নয় কিন্তু।”
‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকটি সুদীপ মুখোপাধ্য়ায়ের কাছে একটা মাইলস্টোর। সেই সিরিয়ালে অনিন্দ্য সেনগুপ্তর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুদীপ। অনিন্দ্য ভালও না, আবার মন্দও না। এক অদ্ভুত পরিস্থিতির শিকার। ভিলেনের চরিত্রে দারুণ সাবলীল সুদীপ। আবার ভাল মানুষের চরিত্রেও দর্শকের তাঁকে ভাল লাগে। সুদীপ নিজে মনে করেন তাঁর মুখটাই ভিলেনদের মতো। তাই হয়তো সহজেই তাঁকে নায়কের চরিত্রে কাস্ট করা হয়। যদিও এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করতেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন এই অভিনেতা।