নবম শ্রেণিত পড়ার সময় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যর জীবনে আসে এক মিষ্টি প্রেম। সেই প্রেমিককে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন অপরাজিতা। তাঁকে ছাড়া চোখে সরষে ফুল দেখতেন অপরাজিতা। সেই প্রেমিককের পরবর্তীকালে কী হল? কেন তাঁকে বিয়ে করলেন না অভিনেত্রী জানেন?
অপরাজিতা বলেছিলেন, “যা হয়, ক্লাস নাইন-টেনে, মারাত্মক একটা প্রেম এসেছিল আমার জীবনে। মনে হয়েছিল তাঁকে ছাড়া বাঁচব না, তাঁকে ছাড়া চোখে ধুতরো ফুল দেখতাম… সেই এক প্রেমিক ছিল আমার।” সেই প্রেমিককে এক্কেবারেই পছন্দ করতেন না অপরাজিতার মা। অপরাজিতার সংযোজন, “চিরকালই আমার ঈশ্বরের প্রতি অগাধ আস্থা। আমার মা আমার এই প্রেমিককে একদমই পছন্দ করতেন না। সেই ছেলেকে ভালবাসার জন্য আমাকে প্রচুর মেরেছেন মা। আমাকে রক্ষা কালি তলায় নিয়ে গিয়েছিলেন।” সেই জাগ্রত মন্দিরে খুব যেতেন অভিনেত্রী। অনেক মনস্ককামনা করে ফলও পেয়েছিলেন তিনি। বলেন, “ওই রক্ষা কালি তলায় নিয়ে গিয়ে মা আমাকে সেই প্রেমিককে ভুলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন।”
সেইদিন অপরাজিতা কি রক্ষা কালি তলায় গিয়ে তাঁর প্রেমিককে ভুলে যাওয়ার শপথ করেছিলেন? অপরাজিতা বলেছেন, “একদিকে মা আমাকে এগুলো বলছেন পাশ থেকে আর আমি মনে-মনে মা কালিকে বলছি, আমাকে ক্ষমা করে দিতে। জানাচ্ছি যে, সেই প্রেমিককে আমার ভুলে যাওয়া সম্ভবই না।”
সেই প্রেমিককে কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে করেননি অপরাজিতা আঢ্য। তিনি বিয়ে করেছিলেন তাঁর স্বামী অতনু হাজরাকে। অনেক ছোট বয়সে অতনুকে বিয়ে করেছিলেন অপরাজিতা। সিনেমায় শুটিং করতে গিয়ে টেকনিশিয়ান অতনুর সঙ্গে আলাপ। অতনুই অপরাজিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অভিনেত্রী প্রথমে ‘না’ বলে দিয়েছিলেন। তারপর এক বান্ধবীর অনুরোধে অতনুদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মাকে দেখে অপরাজিতা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেই বাড়িতেই তিনি বিয়ে করবেন। বিয়ের পর হাওড়া থেকে অপরাজিতা চলে আসেন শ্বশুরবাড়ি বেহালায়। সেটাই এখন অভিনেত্রীর পাকাপাকি ঠিকানা। দারুণ ভালভাবে সংসার করছেন তিনি।