তিনি নিজেও সুস্থ হচ্ছেন ধীরে-ধীরে। সিওপিডি, হাই ব্লাড সুগারে খুব ভুগছেন। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন টালিগঞ্জের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী। ৪ মার্চ বাড়িতে ডিসচার্জ হয়ে ফিরেছেন। কথা বলতে গেলে এখনও হাঁপাচ্ছেন খুবই। টানা ১৬ দিন বাড়ির বাইরে বের হননি। ২০ মার্চ পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্য়ায় পরিচালিত ‘অযোগ্য’ ছবির ডাবিং সেরেছেন। ফেব্রুয়ারিতে সেই কাজটা করতে পারেননি অসুস্থতার জন্য। তাই একটু হাঁটাহাঁটি শুরু করতেই ফেলে রাখা কাজটা সেরে ফেললেন চটপট। কাহিল হলেও কথা রেখেছেন লিলি। ‘নিম ফুলের মধু’ সিরিয়ালে এই মুহূর্তে তাঁকে ঠাকুমার চরিত্রে দেখা যাচ্ছে না। এবার সেটে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেখানেও তাঁকে মিস করছেন শিল্পী এবং কলাকুশলীরা। TV9 বাংলার সঙ্গে কথাবার্তা বলার সময় জানতে পারেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী অসুস্থ। অসম্ভব বিচলিত হয়ে পড়েন লিলি।
লিলির কণ্ঠে তখন উদ্বেগ। বলেন, “ও মা সে কী! বেণু অসুস্থ। কী হয়েছে ওর। আমার চেয়ে কত ছোট।” তারপর জানতে পারেন বুকে পেসমেকার বসানো হয়েছে অভিনেতার। উদ্বেগ যেন থামেই না অভিনেত্রীর। বলেন, “কত ছোট আমার থেকে। কী যে হচ্ছে। আমি ফোন করব। খবর নেব।”
এমনই নাকি লিলি। কারও অসুস্থার খবর শুনলে মন বিচলিত হয়ে ওঠে তাঁর। অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্য়ায় হাসপাতালে ভর্তি। লিলির চেয়ে ৪ বছরের বড় তিনি। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৩ মার্চ থেকে। কোমায় চলে গিয়েছিলেন। জড়ানো হলেও কথা বলতে পারছেন এখন। উঠে বসছেন। একটা কিডনি এক্কেবারে অচল হয়ে গিয়েছে। ভীষণ যন্ত্রণায় আছেন জেনেও খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করে বললেন, “ও তো কাজ করতে পারবে না শুনলাম। এই বয়সে আমাদের ওটাই তো রসদ। ও যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে, সেই প্রার্থনাই করি ঈশ্বরের কাছে।”