‘যাঁরা চলে গেল চিরতরে, তাঁরা কি ফিরে আসতে পারে?’ খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন জেগেছে অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের নাতনি হওয়ার পাশাপাশি অভিনেত্রীর আরও এক পরিচয় তিনি অভিনেতা এবং উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের দ্বিতীয় স্ত্রী। যাঁর সঙ্গে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি আইনি বিচ্ছেদ হয়েছে কাঞ্চনের। নতুন ভিডিয়ো তৈরি করে পোস্ট করলেন পিঙ্কি। এবং টাইটেলে লিখলেন, ‘যারা চলে গেল চিরতরে, তাঁরা কি ফিরে আসতে পারে?’ এবার প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক কার ফিরে আসার কথা বলেছেন পিঙ্কি? তিনি কি তাঁর প্রাক্তন স্বামী কাঞ্চন মল্লিকের ফিরে আসার কথা বলছেন?
কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের অনেক আগে থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন পিঙ্কি। ২০২০ সালের ঘটনা সেটি। একমাত্র পুত্র ওশের হাত ধরে কাঞ্চনের সংসার থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন পিঙ্কি। তখন থেকেই মা ছেলের স্বতন্ত্র বেঁচে থাকা। সেই বেঁচে থাকাকে আরও একটু বেশি উদযাপন করতে নানা ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে শুরু করেছেন পিঙ্কি। তৈরি করেছেন তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘আন বাক্স’ (Unbaksho)।
এই ‘আনবাক্স’তে ভিডিয়ো আপলোড করেছেন পিঙ্কি। টাইটেলে লিখেছেন, ‘যাঁরা চলে গেল চিরতরে, তাঁরা কি ফিরে আসতে পারে?’ ভিডিয়োটি পিঙ্কি তৈরি করেছেন রবীন্দ্রনাথের জীবনের একটি অধ্যায়কে কেন্দ্র করে। ১৯২৬ থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত জীবনের প্রিয় প্রয়াত মানুষদের পরলৌকিক অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। জীবনে কম আঘাত তো পাননি তিনি। ছোট বয়স থেকে বার্ধক্য বয়স পর্যন্ত কাছের মানুষের মৃত্যু আঘাত হেনে তাঁর নরম মনটায়। মুখ বুঝে সবটা সহ্য করেছেন কবিগুরু। বন্ধু, স্ত্রী, সন্তান– রবীন্দ্রনাথের জীবনে বিয়োগের অন্ত ছিল না। তাঁর অনন্ত সৃষ্টির মাধ্যমে জীবনের কঠিনতম বাস্তব ‘মৃত্যু’কে নানাভাবে উদযাপন ধরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। জানতে চেয়েছিলেন মৃত্যুর পর আত্মারা কেমনভাবে রয়েছে। বারবার প্রশ্ন চালিয়েছেন, ‘চলে যাওয়া মানুষ কি ফিরে আসতে পারে’। প্রয়াতদের নিয়ে প্ল্য়ানচেটও করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আসলে রবীন্দ্রনাথের প্ল্য়ানচেটের তথ্য নিয়ে পিঙ্কি তৈরি করেছেন তাঁর নতুন ভিডিয়োটি। এর জন্য প্রচুর গবেষণা করেছেন তিনি। রহস্য উদঘাটনের চেষ্টায় ব্রতী হয়েছেন।