কলকাতা এবং শহরের সংলগ্ন বহু এলাকায় সারাদিন ধরে চলছে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। পথেঘাটে গাড়িও কম। কিছু অফিস-কাছারিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক, বিনোদন জগৎ কিন্তু কাজ থামায় না। শো চলতেই থাকে। নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কিং পূর্ণ করতে হয়। ঝড়-জল-বৃষ্টি হোক কিংবা করোনার মতো আবহ অবস্থা, সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজ করে চলেন বিনোদন জগতের শিল্পী এবং কলাকুশলীরা। শুক্রবার থেকেই রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে রেমালের জন্য। রেমাল ঘূর্ণিঝড় আঁছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু জায়গায়–এমনই সাবধান বাণী দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। তাই আগেভাগেই কাজ গুছিয়ে নিয়েছে কিছু বাংলা ধারাবাহিক। পরিস্থিতি বিস্তারিতভাবে জানালেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকের অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত।
TV9 বাংলাকে দিব্যজ্যোতি জানিয়েছেন, “শনিবার রাত থেকেই আমাদের ডবল ইউনিট নিয়ে কাজ হয়েছে। রাতভর শুটিং হয়েছে আমাদের। পর্যাপ্ত ব্যাঙ্কিং করে রাখা হয়েছে আগামী দু’দিনের জন্য। রবিবার এবং সোমবার কেউ শুটিংয়ে আসেনি ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে। আমরা সকলে ছুটি কাটাচ্ছি।”
দিব্যজ্যোতি থেকেই জানা গেল কেবল ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ নয়, ‘তুমি আশেপাশে থাকলে’ ধারাবাহিকের শুটিংও বন্ধ রয়েছে সোমবার। রবিবার দিন দুপুরের মধ্যে প্যাকআপ হয়ে গিয়েছে এই ধারাবাহিকেরও। দিব্যজ্যোতি বলেছেন, “‘তুমি আশেপাশে থাকলে’ ধারাবাহিকের হিরো রোহনদা (রোহন ভট্টাচার্য) দমদমে থাকে। আমার ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র দু’জন খুদে সদস্য সোনা এবং রুপা থাকে হাওড়ায়। এছাড়াও, ইউনিটের অনেকের বাড়ি অনেক দূরে। এই ঝড়ের মধ্যে হাঁটু পর্যন্ত জল টপকে শুটিংয়ে আসা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে গতকাল এবং আজ আমাদের শুটিং হচ্ছে না।”