রাখি সাওয়ান্ত। তিনি নাকি ড্রামা কুইন। এতগুলো বছরে এটাই তাঁর একমাত্র পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলিউডে। তিনি যাই করেন, মানুষ গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করতে পারেন না। সকলেই ভাবেন, তিনি প্রচারে থাকার জন্য সস্তার স্টান্ট করছেন। কিন্তু রাখির সংগ্রাম ফেলে দেওয়ার মতো নয়। পরিবারের সকলের ছোট মেয়ে তিনি। নিজের জীবন গোছানোর অনেক আগে, সকলের জীবনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এমন সত্যই জানিয়েছিলেন রাখির দিদি।
ছোট বোন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রায় কেঁদেই ফেলেন রাখির দিদি। পাশে বসে থাকা রাখির মুখে কোনও কথা ছিল না তখন। তিনি কুণ্ঠাবোধ করছিলেন। জীবনের সত্য লুকোতে মরিয়া ছিলেন। উঠে গিয়ে দিদিকে জড়িয়েও ধরেছিলেন।
ছোটবেলাতেই বাবা মাথা থেকে হাত তুলে নেন। পরিবার পরিত্যাগ করেন। সংসারে তখন রোজগেরে বলতে কেউ নেই। বাধ্য হয়ে বলিউডে কাজ করতে চলে আসেন রাখি। ‘পারদেসিয়া’র মতো রিমেক আইটেম গানে নেচে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন রাখি। সারাক্ষণই ঝগড়ার মুডে থাকা অভিনেত্রী একটা সময় পর হাসির পাত্রীও হয়ে ওঠেন।
রাখির জীবন সংগ্রাম জানাতে গিয়ে তাঁর দিদি বলেন, “ও না থাকলে আমাদের সংসারটা ভেসে যেত। আমি ওর দিদি। ও না থাকলে আমার বিয়ে হত না। আমার ভাইয়ের বিয়ে হত না। রাখি এতদিন যা-যা করেছে, সব পরিবারকে বাঁচানোর জন্য। আমাদের বাবা তো ছেড়ে চলে গিয়েছে। সেই জায়গাটা বোন নিয়েছে। তাতে ওঁর কোনও নালিশ নেই।”
দিদির কথা শুনতে-শুনতে লজ্জিত রাখির মুখে ছিল একটাই কথা, “বাবা ছেড়ে চলে গিয়েছিল তো কী হয়েছে। আমি যা করেছি আমরা নিজের লোকের জন্যই করেছি…। এটা আমার ভালবাসার জন্য।”