তাপস পালের মৃত্যুর পর পোষ্যদের নিয়েই অধিকাংশ সময় কাটান তাঁর স্ত্রী নন্দিনী মুখোপাধ্যায় পাল। সম্প্রতি এক পোষ্য তাঁর মারাও গিয়েছে। প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন নন্দিনী। সেই পোষ্য তাপসেরও ভারী প্রিয় ছিল। তাকে কন্যাতুল্য স্নেহ করতেন তাপস-নন্দিনী। ফলে পশুপাখিদের প্রতি তাঁদের অপত্য স্নেহ চিরকালীন। কেবল একটি মাত্র প্রাণীর থেকে শতহস্ত দূরে থাকতেন নন্দিনী। সেই প্রাণীটি সাপ। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২০ জুন, ২০২৪) সেই ভয়টাও ভেঙে গিয়েছে তাঁর। এর জন্য পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নন্দিনী। কীভাবে ঘটল এই চমৎকার, জানেন?
এতদিনে সকলেই জেনে গিয়েছেন, বাড়িতে সপ পোষেণ সৃজিত। যে সে সাপ নয়। পাইথন। বলা ভাল, বল পাইথন। একটি নয়, চারটি পাইথন বাড়িতে পোষেন তিনি। সরকারী অনুমতি নিয়ে পাইথন পুষছেন সৃজিত। নানা রঙের পাইথনদের হাতে, গলায় জড়িয়ে ঘুরে বেড়ান তিনি। এই নিয়ে রঙ্গ-তামাশাও কম হচ্ছে না চারিদিকে। কিন্তু তাতে কী, সৃজিতের তাতে থোড়াই কেয়ার! এই তো গত রবিবারই (১৬ জুন, ২০২৪) সাপগুলোর সঙ্গে পিতৃদিবস পালন করেছেন পরিচালক। তাঁদের সমস্ত দেখভালের দায়িত্ব ভালই পালন করছেন তিনি। নিয়মিত পশুচিকিৎসালয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানেই নন্দিনীর সঙ্গে দেখা হয় সৃজিতের। নন্দিনী সেখানে পোষ্য ছোটি সুলতানাকে স্পা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং সাপের সঙ্গে তাঁর বিরল অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করেছেন এক ফেসবুক পোস্টে। সৃজিতের শান্ত এবং ভদ্র পাইথন ছানা অনন্তকে দেখে নন্দিনী ছবি তুলেছেন। এবং তা পোস্ট করে লম্বা ফেসবুক ক্যাপশন লিখেছেন:
পাইথন সাপটি দেখে এতটুকুও ভয় না পেয়ে নন্দিনী লিখেছেন, “সাপ দেখলে শরীর আমার ঘিনঘিন করত। কিন্তু আমি, ডল আর ছোটি সুলতানা সৃজিতের এই মিষ্টি বল পাইথনকে আচমকাই দেখলাম। পশু চিকিৎসালয়ে ছোটির স্পা করাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমার সাপ সম্পর্কে সমস্ত ধারণা লহমায় পাল্টে দিল সৃজিতের এই পোষ্য পাইথন অনন্ত। সাপটি খুবই মিষ্টি। আমার একেবারেই ভয় লাগেনি ওকে দেখে। সৃজিত তুমি ঠিকই বলেছ–সাপদের মানুষ ভুল বুঝেই দূরে সরিয়ে রাখে। ঠিক যেমন পিটবুল এবং রটওয়াইলার প্রজাতির কুকুরদের হিংস্র ভেবে পুষতে চান না মানুষ। দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে আজ। তোমাকে এবং পাইথন অনন্তকে অনেক ধন্যবাদ।”
পাইথন অনন্তকে নিয়ে নন্দিনী এবং সৃজিত।