ক্যানসার থাকতেও সংসারী হলেন ভরত কল; তাঁকে স্বার্থপর বলেন কে?

Sneha Sengupta |

Apr 04, 2024 | 12:47 PM

Bharat Kaul Trolled: একবার বিয়ে ভাঙে টলিপাড়ার অবাঙালি অভিনেতা ভরত কলের। তিনি ফের বিয়ে করেন। তাও আবার নিজের থেকে ১৮ বছরের ছোট এক মেয়েকে। ভরত ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গোটা লড়াইটায় ভরতের হাত শক্ত করে ধরে তাঁকে লড়াই করতে সাহায্য করেছিলেন এই ১৮ বছরের ছোট মেয়েটাই।

ক্যানসার থাকতেও সংসারী হলেন ভরত কল; তাঁকে স্বার্থপর বলেন কে?
ভরত কল।

Follow Us

নিজের থেকে বয়সে অনেক ছোট এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা ভরত কল। প্রায় ১৮ বছরের ছোট তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী মুখোপাধ্য়ায়। জয়শ্রীকে বিয়ে করে একটা সময় প্রচুর কটাক্ষ সহ্য করতে হয়েছে ভরতকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট করলেই তাঁদের নানা কথা শোনাত নিন্দুকেরা। ভরত একবার TV9 বাংলাকে বলেওছিলেন, “লোকে তো আমাকে বলেছিলেন আমি নাকি কন্যাকে বিয়ে করেছি। আমাকে এবং জয়শ্রীকে পাশাপাশি দেখে নাকি সকলের বাবা এবং মেয়ে মনে হয়েছে। সে মনে হতেই পারে। ওসব শুনে আগে খারাপ লাগলেও, এখন আর লাগে না।”

অভিনেতা ভরত কল কাশ্মীরি পণ্ডিত। ভূস্বর্গ থেকে ১৯৯০ সালেই কলকাতায় চলে আসে ভরতের পরিবার। অবাঙালি হয়ে টলিপাড়ায় নিজের পাকাপাকি জায়গা তৈরি করেছিলেন ভরত। দু’বার বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী অনুশ্রী দাসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাঙে আগেই। তারপর জীবনে কিছু প্রেম আসে। মুম্বইয়ের বাঙালি অভিনেত্রী সায়ন্তনী ঘোষের সঙ্গে নাকি লিভ টুগেদারও করতেন ভরত। সেই প্রেম ভাঙার অনেকগুলো বছর পর জয়শ্রীকে স্ত্রী হিসেবে পেয়েছেন ভরত।

ভরত কল ক্যানসার জয়ী। বিয়ের সময় তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। সেই জন্যেও তাঁকে এক ব্যক্তি একবার কটাক্ষ করে ‘স্বার্থপর’ বলেছিলেন। বলেছিলেন, “নিজের ক্যানসার আছে জেনেও কেন একজন বয়সে ছোট মেয়েকে বিয়ে করেছেন আপনি। তারপর সন্তানের পিতাও হয়েছেন। তাঁদের অনিশ্চিত জীবন তৈরি করে কী লাভ হল আপনার।” এই মন্তব্য দেখে বুকের ভিতরটা ভেঙে গিয়েছিল ভরতের। দুঃখ চেপে রেখে ভরত জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী জয়শ্রীকে নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই। স্ত্রীকে ফাইটার বলেছিলেন ভরত। কিন্তু কন্যা আরিয়াকে নিয়ে তিনি যে ভয় পান, তা কথাও ব্যক্ত করেছিলেন ভরত।

কন্যা আরিয়াকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে দিতে চান, সেই কথা ভরত জানিয়েছিলেন একটি রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে। সঙ্গে এটাও দুঃখ করে বলেছিলেন, “আমার তো একটা দুরারোগ্য অসুখ হয়েছিল ক্যানসার, ফলে নিজের জীবন নিয়ে আমি খুব একটা নিশ্চিত নই। হয়তো আরিয়ার বড়বেলাটা আমি দেখেই যেতে পারব না। কিন্তু ওর জীবনে যাতে কোনও কিছুর অভাব না থাকে, সেই দিকটা নিশ্চিত করে যাব।”

Next Article