AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মিমির কাঁধে সাদা শাড়ি রেখে পরিচালক চিৎকার করে বলেছিলেন, ‘পেয়ে গিয়েছি আমার…’

Mimi Chakraborty: প্রথম অডিশনের কথা কেউ ভুলতে পারেন না সচরাচর। ভুলতে পারেননি টলিপাড়ার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও। তাঁর প্রথম অভিনয় টেলিভিশনের পর্দায়। টি-শার্ট, জিন্স, কাঁধে ব্যাগপ্যাক নেওয়া মেয়েটা সেদিন অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন। জানেন কী ঘটে মিমির সঙ্গে?

মিমির কাঁধে সাদা শাড়ি রেখে পরিচালক চিৎকার করে বলেছিলেন, 'পেয়ে গিয়েছি আমার...'
মিমি চক্রবর্তী।
| Updated on: Jun 19, 2024 | 11:04 AM
Share

বর্তমান সময়ে টলিপাড়ার প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে নাম আছে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর। তাঁর শুরুটা কিন্তু হয়েছিল টেলিভিশনের পর্দায়। পর্দার পুপে ছিলেন তিনি। ঋতুপর্ণ ঘোষের লেখনীতে তৈরি ‘গানের ওপারে’ ধারাবাহিকের নায়িকা ছিলেন মিমি। ঋতুপর্ণই তাঁকে প্রথম কাজের ব্রেক দিয়েছিলেন। এক্কেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে, অগুনতি সম্ভাব্য প্রতিযোগীদের হারিয়ে ঋতুপর্ণর চোখে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন যোগ্য পুপে। বহু সাক্ষাৎকারে মিমি তাঁর সেই অডিশন অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন। অডিশনে কী ঘটে জানেন?

উত্তরবঙ্গের মেয়ে পুপে। জীবনে অনেক বড় কিছু হবেন, সেই স্বপ্ন নিয়ে চলে এসেছিলেন কলকাতা শহরে। পরিচালক সুদেষ্ণা রায় তাঁকে পাঠিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ‘উৎসব’-এ। ইন্ডাস্ট্রির বুম্বাদা (প্রসেনজিতের ডাকনাম) তখন তৈরি করছেন ‘গানের ওপারে’ বাংলা ধারাবাহিক। চলছে নায়িকার সন্ধান। বহু মেয়ে অডিশন দিতে এসেছেন। গিয়েছিলেন মিমিও। সে সময় তিনি পিঠে ব্যাগপ্যাক, টি-শার্ট এবং জিন্স পরেই ঘুরতেন। অডিশনে গিয়ে রীতিমতো ঘাবড়ে যান মিমি। সাক্ষাৎ ঘটে ঋতুপর্ণর সঙ্গে। মিমিকে দেখেই তিনি তাঁর কাঁধে সাদা শাড়ি রাখে, মুখে তেল মাখিয়ে, টিপ পরিয়ে, চোখে কাজল লেপে বলে ওঠেন, “এই যে, আমি আমার পুপেকে পেয়ে গিয়েছি।”

প্রথম অডিশনের এই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার সময় মিমি বলেছিলেন, “‘গানের ওপার’-এর জন্য অডিশন দিতে গিয়ে দেখেছিলাম, সকলে কত কী করছেন। কত সংলাপ বলছেন। আমার কাঁধে শাড়ি ফেলে, চোখে কাজল পরিয়ে ঋতুদা বলেছিলেন, তিনি পেয়ে গিয়েছেন পুপেকে। আমাকে কিন্তু অডিশনই দিতে হয়নি। আজও ভাবলে অবাক হয়ে যাই।” সেই শুরু। পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি মিমি চক্রবর্তীকে। কেবলই উত্থান ঘটেছে তাঁর জীবনে। ঋতুপর্ণই মিমিকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন সেদিন। এই ঋণ মিমি ভুলতে পারেন না আজও।