AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘সুসম্পর্ক’ রেখে বিচ্ছেদ, জানেন কি হৃত্বিক-সুজ়ানের বিয়ে ভাঙার আসল কারণ?

Hrithik Roshan-Sussanne Khan: ৫০ বছর বয়সে পা দিয়েছেন বলিউডের 'গ্রিক গড' অভিনেতা হৃত্বিক রোশন। তাঁর জন্মদিনে আদর মাখানো শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন প্রাক্তন স্ত্রী সুজ়ান খান। সুজ়ান লিখেছেন, ৫০ বছর বয়সেও ৩০ বছরের সুদর্শন পুরুষের মতোই আছেন তাঁর প্রাক্তন স্বামী। বিবাহবিচ্ছেদের পর প্রাক্তনের সঙ্গে এহেন সুসম্পর্ক সচরাচর দেখাই যায় না প্রায়। তবে বিয়েটা ভেঙেছিল কেন, সেই কারণ খুবই কম লোকে জানে।

'সুসম্পর্ক' রেখে বিচ্ছেদ, জানেন কি হৃত্বিক-সুজ়ানের বিয়ে ভাঙার আসল কারণ?
হৃত্বিক এবং সুজ়ান।
| Updated on: Jan 11, 2024 | 11:14 AM
Share

৫০ বছর বয়সে পা দিয়েছেন বলিউডের ‘গ্রিক গড’ অভিনেতা হৃত্বিক রোশন। তাঁর জন্মদিনে আদর মাখানো শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন প্রাক্তন স্ত্রী সুজ়ান খান। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন হৃত্বিক এবং তাঁদের দুই পুত্র সন্তান রেহান এবং হৃদানের ছবি। সুজ়ান লিখেছেন, ৫০ বছর বয়সেও ৩০ বছরের সুদর্শন পুরুষের মতোই আছেন তাঁর প্রাক্তন স্বামী। বিবাহবিচ্ছেদের পর প্রাক্তনের সঙ্গে এহেন সুসম্পর্ক সচরাচর দেখাই যায় না প্রায়। তবে বিয়েটা ভেঙেছিল কেন, সেই কারণ খুবই কম লোকে জানে।

প্রথম ছবি ‘কহো না পেয়ার হ্যা’ মুক্তি পাওয়ার পরপরই হৃত্বিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা সুজ়ান খানের। ২০০০ সালে বিয়ে করেন হৃত্বিক-সুজ়ান। প্রথম ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরই বিয়ে করেছিলেন বলে শয়ে শয়ে মহিলার মন ভেঙেছিলেন হৃত্বিক। কিন্তু সুজ়ানের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে হৃত্বিকের। টানা ১৩ বছর সংসার করার পর ২০১৩ সালে পথ আলাদা হয়ে যায় এই তারকা দম্পতির। সেই সময় খবরের শিরোনাম দখল করে নিয়েছিল তাঁদের ডিভোর্সের খবর। কিন্তু কেন পথ আলাদা হয়ে গিয়েছিল সুজ়ান-হৃত্বিকের। আসল কারণটা আজও অজানাই।

সেই সময় খবরে বেরিয়েছিল নিজের মধ্য়ে কথা বলেই নাকি আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হৃত্বিক-সুজ়ান। তাঁদের মধ্যে কোনওভাবেই নাকি তিক্ততার সম্পর্ক তৈরি হয়নি। তবে বিয়ে ভাঙার ৩ বছর পর, অর্থাৎ ২০১৬ সালে, সুজ়ান জানিয়েছিলেন আসল কারণ।

সুজ়ান বলেছিলেন, “জীবনে এমন একটা জায়গায় আমি আর হৃত্বিক পৌঁছে গিয়েছিলাম, যেখানে আমার মনে হয়েছিল, এই সম্পর্কটাকে আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না কোনও মতেই। তাই আমিই প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিলাম ডিভোর্সের। মিথ্যা সম্পর্কে থাকার চেয়ে সেই সম্পর্ক থেকে সম্মানের সঙ্গে বেরিয়ে আসা অনেক গৌরবের।”

নিজে মুখে না বললেও, সে সময় শোনা গিয়েছিল, হৃত্বিকের কারণেই নাকি এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন সুজ়ান। বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও নাকি সুজ়ানের সঙ্গে অসততা করেছিলেন হৃত্বিক। তিনি নাকি অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এবং বিষয়টা জেনেই সুজ়ান স্বামীকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমকে এক্কেবারে উল্টো কথা বলেছিলেন হৃত্বিক। তাঁর সঙ্গে অন্য নারীর সম্পর্কের রটনাকে ফুৎকারে উড়িয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, “যাঁরা এ সমস্ত কথা রটাচ্ছেন, তাঁদের মুখের উপর আমি হাসতে চাই। কোনও বিয়ে ভেঙে যাওয়া মানে পরকীয়া নয়। আরও অনেক কারণেই বিয়ে ভেঙে যেতে পারে।”