বেহুঁশ হয়ে বমি করে পরিচালকের বাড়ির কোমড ভেঙে ফেলেছিলাম:স্বস্তিকা
Swastika Dutta: সিনেপাড়ায় 'গসিপ'মানেই কি শুধু প্রেম আর বিচ্ছেদ!ক্যামেরা বন্ধ হলেই কখন কোথায় কী ঘটে তা জানা যেমন কঠিন। তেমনই সেগুলোর প্রতি দর্শকের কৌতূহল বরাবরই বেশি। 'পেজ থ্রি'র রাত পার্টিতে কী হয়? সেই আগ্রহ সকলের মনে। কাদের রসায়ন জমল। জানেন কি এমনই অনেক সময় নিজেদের কাণ্ডের জন্য অপ্রস্তুতেও পড়তে হয় তারকাদের।
সিনেপাড়ায় ‘গসিপ’মানেই কি শুধু প্রেম আর বিচ্ছেদ!ক্যামেরা বন্ধ হলেই কখন কোথায় কী ঘটে তা জানা যেমন কঠিন। তেমনই সেগুলোর প্রতি দর্শকের কৌতূহল বরাবরই বেশি। ‘পেজ থ্রি’র রাত পার্টিতে কী হয়? সেই আগ্রহ সকলের মনে। কাদের রসায়ন জমল। কাদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ হল। রসালো গল্প শোনার জন্য় যেন মুখিয়ে থাকেন সবাই। তবে পর্দার রঙিন জীবন আর বাস্তবের চিত্রটা যে অনেকটাই আলাদা সেটা বলা যেতেই পারে। তাই তো অনেক সময় পরিস্থিতি হাতের বাইরেও বেরিয়ে যায়। যেটাকে পাতি বাংলায় বলা হয় ছড়িয়ে ফেলা। এমনই মুহূর্ত অনেক তারকাদের জীবনেই এসেছে। যে মুহূর্ত মনে করলেই তাঁরা মনে মনে বলেছেন ‘এমা ছিঃ ছিঃ ছিঃ’। এমনই জিভ এক পরিস্থিতিতে পড়ে জিভ কেটেছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত। শুধু কি জিভ কাটা! লজ্জায় মুখ দেখাতেও অস্বস্তিবোধ হচ্ছিল নায়িকার। এমনই এক অভিজ্ঞতার কথা সকলের সামনে ভাগ করে নেন নায়িকা। কী কাণ্ড করেছিলেন?
TV9 বাংলাকে তেমনই এক অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন নায়িকা। বর্তমানে তাঁর ঝুলিতে একের পর এক কাজ। ওয়েব সিরিজ, সিনেমায় পর পর কাজ করেই চলেছেন। রাজ চক্রবর্তীর ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে ‘ ছবির মাধ্যমে অভিনয় যাত্রার শুরু স্বস্তিকার। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। কেরিয়ারের তখন শুরু। সে সময় অনেকগুলো ছবিতেই অভিনয় করেছিলেন নায়িকা। এমনই একটি ছবির সাকসেস পার্টিতে গিয়ে যা কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন নায়িকা। তা শুনলে রীতিমতো চমকে যাবেন। স্বস্তিকা বলেন, “তখন আমার বয়সটা অনেকটাই কম। কলেজে পড়ি। কেরিয়ারের শুরুতে আমি অনেকগুলো ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। তেমনই একটি ছবির সাকসেস পার্টি ছিল। পরিচালকের বাড়িতেই হচ্ছিল পার্টি। আর সবাই জানেন পার্টি মানে সেখানে সব খাবার পানীয় আছে। আমি নতুন নতুন। ছবির সাকসেস পার্টি মানে খুবই উত্তেজিত ছিলাম। আমি কোনও দিনই মদ খাই না।” কিন্তু জীবনের প্রথম ফিল্মি পার্টি সে দিন নিজের উত্তেজনা ধরে রাখতে পারেননি স্বস্তিকা।
অভিনেত্রী বলেন, “সব ধরনের পানীয় ছিল সেখানে। আমি উত্তেজনার বশে একের পর এক গ্লাস শেষ করতে থাকি। তার পর যা কাণ্ড। মাথা ঘুরছে। চোখ খুলে থাকতে পারছি না। শেষে হড়হড় করে বমি। পরিচালকের বাথরুম বমি করে ভাসিয়েছিলাম। শুধু তাই নয় বমি করে বাথরুমের কোমড ভেঙে দিয়েছিলাম। তার পর কোনও রকমে সবাই আমায় বাড়ি পৌঁছে দেয়। বাড়িতে তো খুব বকুনি খেয়েছিলাম। কিন্তু পরের ঘুম থেকে উঠে যা লজ্জা পেয়েছিলাম না। সবাইকে ফোন মেসেজ করে সরি বলেছিলাম।”