ভিলেন হিসেবে আত্মপ্রকাশ অভিনেতা সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়ের। দুর্দান্ত ভিলেনকে ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে ব্যক্তিজীবনে সুমিত ঠিক উল্টো। তাঁর মতো মানুষ নাকি হয় না। তিনি ঘোরতর সংসারী। স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে তাঁর গোছানো জীবন। ভয়নাক ভিলন সুমিতকে একেবারেই ভয় পেতেন না কন্যা। তিনিই কন্যাকে ভয় পেয়েছেন।
৬০ ছুঁই-ছুঁই বয়স সুমিতের। তবে মনটা তাঁর বছর ২৫শের যুবকের। অবলীলায় বললেন, “আমার সঙ্গে কোনও মহিলা যদি ৪-৫দিন মেলামেশা করেন, সিনেমায় যান, কফি খান, তিনিও আমার প্রেমে পড়ে যাবেন। পুরোপুরি প্রেমে পড়ে যাবেন। এক্কেবারে হাবুডুবু খাবেন। এটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। আমি কিন্তু সেই মহিলার হাতটাও ধরব না।” আমার এখনও পর্যন্ত ৭০০ থেকে ৮০০জন গার্লফেন্ড হয়েছে। কিছু করার নেই, আমার স্ত্রী সবই জানেন। ওকে কিছুই লুকাই না। এই প্রেমিকারা আমার আমৃত্যু থাকবে। ঈশ্বর আমাকে এটা উপহার দিয়েছেন।”
মহিলারা কেন বারবার প্রেমে পড়েন সুমিতের, প্রশ্ন করায় অভিনেতার স্বতঃস্ফূর্ত জবাব, “আমার জ্যোতিষ ছকে শুক্র খুবই ভাল জায়গায় অবস্থান করে। সেই কারণেই মহিলারা আমাকে খুব ভালবাসেন।” সুমিতের সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক)-এ ৩৮ হাজার ফলোয়ার। প্রায় ৫০০০জন বন্ধু আছেন ফ্রেন্ড লিস্টে। মাঝেমধ্যে সেই লিস্ট থেকে ফ্রেন্ড ছাটাইও করেন সুমিত। ৫০০০-এর মধ্যে ৪,৫০০জন মহিলাই। আর তাঁর স্ত্রী শেলি গঙ্গোপাধ্যায়? তাঁর সঙ্গে কীভাবে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সুমিতের। অভিনেতা বলেছেন, “ও-ও তো আমার প্রেমে পড়েছিল আলাপের ৪-৫ দিনের মধ্যে। তারপর আমাকে টানা একবছর ফিল্ডিং করতে হয়েছে। সেটা একটু কঠিন ছিল। আমার স্ত্রী শেলির সেই সময় টাইফয়েড হয়েছিল। ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ও। মৃত্যু মুখে চলে গিয়েছিল। তাঁর চিকিৎসা-পরিচর্যা-দেখাশোনা সব করেছি আমি। সেই সব করতে গিয়েই প্রেমটা হল আরকী। বিয়ে করে ফেললাম।”