Srabanti Brutally Trolled: ‘শাড়ি খুলে’ যেতে পারে টলি-হিরোইনের, কুৎসিত ট্রোলের মুখে পড়তে হল শ্রাবন্তীকে
Srabanti Chatterjee: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করছে হারিয়ানভি 'ঠুমক ঠুমক' গানের সুর। সেই গানের তালে পা মেলাচ্ছেন সাধারণ, বিখ্যাত প্রত্যেকেই। ব্যতিক্রম নন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও। গাঢ় গোলাপি রঙের সি-থ্রু (স্বচ্ছ) শাড়ি পরে সেই গানের তালেই নেচেছেন শ্রাবন্তী। এবং সেই ভিডিয়োটি তিনি পোস্ট করেছেন নিজের ইনস্টাগ্রামে। এরপরই সেই ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে ট্রোলের শিকার হয়েছেন শ্রাবন্তী।
আর পাঁচজনের মতো তিনিও গা ভাসিয়েছিলেন ট্রেন্ডে। কিন্তু শেষমেশ বিশ্রী পরিণতি হল টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তির। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করছে হারিয়ানভি ‘ঠুমক ঠুমক’ গানের সুর। সেই গানের তালে পা মেলাচ্ছেন সাধারণ, বিখ্যাত প্রত্যেকেই। ব্যতিক্রম নন শ্রাবন্তীও। গাঢ় রঙের সি-থ্রু (স্বচ্ছ) শাড়ি পরে সেই গানের তালেই নেচেছেন শ্রাবন্তী। এবং সেই ভিডিয়োটি তিনি পোস্ট করেছেন নিজের ইনস্টাগ্রামে। এরপরই সেই ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে ট্রোলের শিকার হয়েছেন শ্রাবন্তী।
চিরকালই সুন্দর শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ইন্ডাস্ট্রির নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই স্বীকার করে নিয়েছেন, মেকআপ ছাড়া এবং মেক নিয়েও একই রকম সুন্দর লাগে শ্রাবন্তীকে। চেহারা যদি ভারীও হয়ে যায় মিষ্টি মুখখানি একই রকম সুন্দর থাকে তাঁর। সেই শ্রাবন্তীকেই শরীর নিয়ে কটাক্ষ সহ্য করতে হল ‘ঠুমক ঠুমক’ গানের তালে নাচার জন্য।
জীবনের নানা মুহূর্তের ভিডিয়ো, যে কাজ হোক কিংবা ব্যক্তিগত, অনেককিছুই সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় তুলে ধরেন শ্রাবন্তী। এবারও সেই ব্যতিক্রম হল না। এবারও তিনি নিজেকে মেলে ধরলেন। প্রাণের উচ্ছ্বাসে নাচলেন। কেউ তাঁর মধ্যে লুকিয়ে থাকা স্বতঃস্ফূর্ত মেয়েটিকে দেখতে পেলেন না। কেবলই দেখতে পেলেন এক ‘বাচ্চা’ হাতিকে। হ্যাঁ, এই নামই তাঁকে দিয়েছে নিন্দুকের দল। শ্রাবন্তীর নাচের ভিডিয়োর নীচে লিখেছেন, “দেখে মনে হচ্ছে একটা ছোট হাতির বাচ্চা লাফাচ্ছে যেন।” এত তো সোজাসুজি বডি শেমিং, যে বডি শেমিং নিয়ে অকপট অনেক তারকাই। এবং বিষয়টিকে এক্কেবারেই প্রশ্রয় দেওয়া হয় না সভ্য সমাজে।
View this post on Instagram
অন্য এক নিন্দুক শ্রাবন্তীকে কটাক্ষের মাধ্যমে পক্ষান্তরে মহিলা যৌনকর্মীদের অসম্মান করতেও পিছপা হননি। সেই ট্রোলার লিখেছে, “এটা কী নাচ! এতো আগে বাইজিখানার সিনেমায় দেখতাম। এইসব করে ছেলে ফাঁসানো এখন হয়তো যাবে না। তাও চেষ্টা চালিয়ে যান। আমরা তো মজা লুটেনি।” শেষ হয় না কটূক্তি। অভিনেত্রীকে বয়সের খোঁটাও সহ্য করতে হয়েছে। লিখেছেন, “বুড়ো বয়সে আর কত!” কেউ-কেউ আবার অভিনেত্রীর ‘শাড়ি খুলে যাওয়া’ যাওয়ার মতো কুৎসিত শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন নির্দ্বিধায়। কেউ লিখেছেন, “পেটে আর কয়টা বাচ্চা আছে?” এই কটাক্ষময় মন্তব্যের মাঝেও অনুরাগীরা ছিলেন, যাঁরা শ্রাবন্তীকে বাহবা দিয়েছেন।