অনেকটা সময় পেরিয়ে গেল?
হ্যাঁ, তা তো বটেই, দেখতে দেখতে দু’বছর…
লকডাউনের পর প্রথম বার ছবি মুক্তি পাচ্ছে রাজ চক্রবর্তীর, দেরিটা কি সচেতন ভাবেই?
২০২০-র মার্চে ছবির মুক্তির ডেট ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু যে দিন মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল তার তিন দিন পরেই লকডাউন হয়ে গেল। ভেবেছিলাম এপ্রিল মাসে মুক্তির দিন ঠিক করব। কিন্তু তা আর হল কই?
সিনেমা হল খোলার পরেও আপনার প্রযোজনা সংস্থা থেকে ছবি মুক্তি পায়নি
আমরা চেয়েছিলাম ছবিটা যাতে সকলে মিলে দেখুক। এই বছরের অন্যান্য কাজে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছি। তাই সব কিছু দেখে শুনে আগামী বছর ২১ জানুয়ারি ধর্মযুদ্ধ মুক্তির দিন ঠিক করেছি।
ধর্ম নিয়ে ছবি, শুধুই যুদ্ধ! শান্তি নেই?
ছবিটি যে সময় তৈরি হয়েছিল সেই সময় দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার খবর উঠে আসছিল। এই ছবিতে কারও পক্ষে বা বিপক্ষে বলা হয়নি। ধর্ম নিয়ে আজন্মলালিত যুদ্ধে যে সামগ্রিক ক্ষতি হয় একজন সাধারণ নাগরিকের সে কথাই বলা হয়েছে এই ছবিতে।
সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গেও মিল পাওয়া যাবে কি?
শুধু বাংলাদেশ বলে নয়, ধর্ম নিয়ে যুদ্ধ চলছে, আগামী বেশ কিছু বছর চলবেও। আর তাতে অসুবিধে হবে আমাদের। ধর্মযুদ্ধ শুধু ছবি নয়, মানুষের উপর বানানো এক ডকুমেন্টেশন।
স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত রয়েছেন ছবিতে, অথচ তিনি দেখে যেতে পারলেন না
সেই আপসোস তো রয়েই গেল। উনি চেয়েছিলেন যত দ্রুত সম্ভব সিনেমা হলে ছবিটি রিলিজ হোক। বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে এই ছবি দেখতে পারেন। কিন্তু তিনি আর রইলেন না।
অনেকেই বলছেন, বিধায়ক হওয়ার পর রাজ চক্রবর্তী নাকি ছবি বানানো ছেড়ে দিয়েছেন!
হাব্জি গাব্জি আর ধর্মযুদ্ধ — দু’দুটো ছবি আটকে আছে। প্রচুর টাকা আটকে রয়েছে। ওই দুটো ছবি মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত সত্যিই সামনের কিছু নিয়ে ভাবতে পারছি না।
ছবি মুক্তি জানুয়ারিতে, তার আগেই কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের দায়িত্ব…
হ্যাঁ, ওই জন্যই তো ধর্মযুদ্ধ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দিয়েও তুলে নিয়েছি। যেহেতু আমাকেই দায়িত্বটা পালন করতে হবে… তাই আমার ছবি তো আর টেকনিকালি সেখানে দেওয়া যায় না।
তার মানে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের চেয়ারপার্সন হিসেবে রাজ চক্রবর্তীর ইস্তফার আবেদন গৃহীত হয়নি? আপনিই থাকছেন?
(হাসি) দায়িত্ব তো রয়েছেই, বাকিটা সময়ই বলবে…।