হইচই ওটিট প্ল্য়াটফর্মের চিফ অপারেটিং অফিসার সৌম্য মুখোপাধ্যায়ের গলায় মালা দিতে চলেছেন অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন। চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর হবে সিঁদুর দান। তার আগে ২ ডিসেম্বরে আংটি বদল। বর্তমানে দস্তুর মতো চলছে প্ল্যানিং, যদিও শপিং এখনও শুরু হয়নি, বিয়ে নিয়ে TV9 বাংলাকে আর কী কী বললেন অভিনেত্রী।
বিয়ে যেন রং হারাচ্ছে বলিউড, আপনিও কি ট্রেন্ডে গা ভাসাবেন?
দেখো, এটা প্রতিটা মানুষেরই জীবনের এক বিশেষ দিন। যাঁরা মনে করেন তাঁদের কথা বলছি। ফলে এই দিনটাতে তাঁরা কীভাবে সাজবেন, সেটা একান্ত তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাঁরা সবাই যদি এই ট্রেন্ডটাকে পছন্দ করে থাকেন, তবে সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। আমার ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, এখনও কিছু কিনে উঠতে পারিনি। আমরা সবে পরিকল্পনা শুরু করেছি। তবে রংটা স্থির করে ফেলেছি। আমি গোলাপী পরব, আমার আসলে লাল রংটা পছন্দ নয়। আর আমার সঙ্গে ম্যাচিং করে সৌম্য পরবে প্যাস্টেল পিঙ্ক। আমি সত্যি ভীষণ উজ্জ্বল সাজব, এটা নিশ্চিত করে বলতেই পারি।
বলিউড স্টাইলে কি বিয়ের যাবতীয় তথ্য গোপন রাখার প্ল্যান রয়েছে?
না, ঠিক গোপন রাখা নয়। এই তো আপনারা জানতে চাইছেন, এই বিষয় কথা বলছেন, আমি যথা সম্ভব জানাচ্ছি। তবে ওই বিয়ের আসরে ক্যামেরা নিয়ে সর্বক্ষণ সঙ্গে থাকা, ওটা আমি বা আমরা চাইছি না। অনেকেই অনুরোধ করছেন, বিয়ের অনুষ্ঠান কভার করার জন্য, অনেক সংবাদ মাধ্যম থেকে অনুরোধ পাচ্ছি, কিন্তু এই দিনটাকে আমি চাই আমার মতো করে সাজাতে। এই বিষয় প্ল্যানিংটা করে ফেলেছি। পরিবার, বন্ধু, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সদস্যরা, অনেকেই অতিথির তালিকায় থাকবেন। আমার থেকে বেশি বন্ধু রয়েছে সৌম্যর। ওই ঘরোয়া বিয়ে, ছোট করে বিয়ে, এমনটা নয়। আমন্ত্রিত থাকবেন সকলেই। এটা তো সারা জীবনের সেরা মুহূর্ত, এই বিশেষ মুহূর্তটাকে শুটিং করে তুলতে চাই না। তাই ক্যামেরা, সাংবাদ মাধ্যম আমি সত্যি চাই না।
ডেস্টিনেশন ওয়েডিং প্ল্যান নয় কেন, এটা তো ট্রেন্ড…
হম, ইচ্ছে তো ছিল। সৌম্যর ভীষণ ইচ্ছে ছিল। তবে পরিবারের বয়স্ক মানুষদের কথা ভেবে আর সেই পথে গেলাম না। কারণ সকলে উপস্থিত থাকতে পারেন না। ইন্ডাস্ট্রির সকলে গিয়ে উঠতে পারবেন না। এটা মোটেও কাম্য নয়। তাই করিনি।
বিয়েতে কী পরছেন?
আমি শাড়ি, সৌম্য ধুতি আর শেরওয়ানি পরবে। যদিও এখনও কোনওটাই কেনা হয়নি। খোঁজ চলছে। পছন্দ হলে নিয়ে নেব। ডিজাইনার কে হবেন, সেটাও তাই এখনই বলতে পারছি না।
বাগদান, বিয়ে তো হল, আর বউভাত?
আসলে আমাদের বিয়েটা দিচ্ছেন পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিক। উনি আমাদের জানিয়েছেন, এক ঘণ্টার মধ্যেই বিয়ে পর্ব শেষ। তাই ওই দিনই আমরা রিসেপশনটা মিটিয়ে নেব। আসলে আমাদের পরিবার এই সব বিষয় ভীষণ উন্মুক্ত মনোভব রাখেন। ফলে সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। ওই বিয়ে, কালরাত্রী, বউভাত, এভাবে কিছুই ভাবছি না।
আপনারা তো ঘুরতে ভীষণ পছন্দ করেন, হানিমুন প্ল্যান কী?
এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন। তবে একটা বিষয় দেখে আমার অবাক লাগল, আগে আমার তিন মাস কোথাও না গেলেই মনে হতো, কতদিন কোথাও যায়নি। সৌম্যর দেখি মাত্র দেড় মাস হলেই শুরু হয়ে যায় অস্বস্তি। ও আমার থেকেও বেশি ঘুরতে পছন্দ করে। তবে ডিসেম্বরে আমরা কোথাও যাচ্ছি না। কয়েকমাস পর যাব। কারণ বিয়ের জন্য কয়েকদিন ছুটি নিতে হবে। এরপর আমারও কাজ আছে, ওরও অফিস আছে, তাই ছুটি পাব না আমরা। তবে কয়েক মাস পর তো যাবই। সেই প্ল্যানও চলছে। যদিও একটা সমস্যা রয়েছে, কখন করব প্ল্যান! এত কম সময় পাই আমরা একসঙ্গে কথা বলার, যে সব কিছু একসঙ্গে হয়ে উঠছে না। সামনে বিয়ে, তাই বিয়ে নিয়ে কথা বলতেই সময় কেটে যাচ্ছে এখন।