Tollywood Gossip: নিশিবেলায় ব্যাংককের রাস্তায় মঙ্গলসূত্র গলায় সইফের বাহুডোরে শ্রীলেখা, তারপর…
Sreelekha Mitra in Bangkok: ব্যাংকক জায়গাটি নিয়ে নানা মানুষের নানা ধারণা। সেখানে নাকি মানুষ 'দুষ্টুমি' করতে যায়। সেরকম একটি 'দুষ্টু' জায়গায় সইফের সঙ্গে শ্রীলেখা করছেনটা কী? প্রশ্ন উঠেছে। তার উপর আবার শ্রীলেখার গলায় মঙ্গলসূত্র। বেশ বউ-বউ ভাব তাঁর মধ্যে। বিষয়টি জানতে TV9 বাংলা যোগাযোগ করেছিল অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর সঙ্গে।
ব্যাংককের রঙিন রাত। চারদিকে নিয়ন আলোর ছড়াছড়ি। সাদা শিফন সি-থ্রু শাড়িতে হোটেল থেকে বেরিয়ে এলেন শ্রীলেখা মিত্র। গলায় তাঁর মঙ্গলসূত্র। সঙ্গে তাঁর বলিউডের ছোটে নবাব সইফ আলি খান। অভিনেতার মুখে তখন লেগে মিষ্টি হাসি। শ্রীলেখাও ডুবে সেই মোহময়ী রাতে। ব্যাংককে কী করছেন শ্রীলেখা? তা-ও আবার সইফের সঙ্গে?
ব্যাংকক জায়গাটি নিয়ে নানা মানুষের নানা ধারণা। সেখানে নাকি মানুষ ‘দুষ্টুমি’ করতে যায়। সেরকম একটি ‘দুষ্টু’ জায়গায় সইফের সঙ্গে শ্রীলেখা করছেনটা কী? প্রশ্ন উঠেছে। তার উপর আবার শ্রীলেখার গলায় মঙ্গলসূত্র। বেশ বউ-বউ ভাব তাঁর মধ্যে।
বিষয়টি জানতে TV9 বাংলা যোগাযোগ করেছিল অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর সঙ্গে। দু’টি ছবি শ্রীলেখা শেয়ার করেছেন তাঁর ফেসবুক স্টোরিতে। তাতেই নজর কেড়েছেন তিনি। তাঁকে দেখা যাচ্ছে সইফের বাহুডোরে। অভিনেত্রী বলেছেন, “২০০৭ সালে তোলা হয়েছে ছবিটি। সেই সময় সইফ ব্যাংককে ‘হম তুম’ ছবির শুটিং করছিলেন। রানি মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন। আমি গিয়েছিলাম।”
কিন্তু এমনি-এমনি কেন সইফের সঙ্গে দেখা করতে সোজা ব্যাংককে চলে যাবেন শ্রীলেখা। তিনি গিয়েছিলেন এক বিশেষ কারণে। বলেছেন, “আমি ব্যাংককে গিয়েছিলাম একটা বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে। এবং সেই বিজ্ঞাপনে আমার সঙ্গে নায়ক ছিলেন সইফ।”
মুম্বইয়ের বাঙালি পরিচালক প্রদীপ সরকারের পরিচালনায় তৈরি হয়েছিল সেই চিপসের বিজ্ঞাপন। শ্রীলেখা বলেন, “সময়টা খুবই সুন্দর ছিল। আমি আর সইফ দারুণ সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম ব্যাংককে। ১৬ বছর আগের ঘটনা। আমার মেয়ের তখন দেড় বছর বয়স। ওকে কলকাতায় রেখে এসেছিলাম। মেয়েরই ছোটবেলার ছবি খুঁজতে-খুঁজতে এই ছবি দু’টো পাই।”
সইফের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতার কথাও শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা। বলেছেন, “খুব মিষ্টি মানুষ সইফ। হালকা ফ্লার্ট করত। আমার সঙ্গেও ফ্লার্ট করেছিল সেদিন। আমার চোখের প্রশংসা করেছিল। কী সুন্দর দেখতে একটা লোক। গোলাপি গায়ের রং। এখন কেমন যেন গুরুগম্ভীর হয়ে গিয়েছেন। চারটে বাচ্চার বাবা তিনি। কিন্তু আমার দেখা সইফ ছিলেন মিষ্টি, কিউট আর খু-উ-উ-উ-ব দুষ্টু…।”