AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রবিঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি, আয়োজনে তেজেন্দ্র নায়ারণ, শ্রীকান্ত আচার্য, জয় গোস্বামী

"রবি রাগ পথে" শুধুমাত্র একটি আর-পাঁচটা রাবীন্দ্রিক অনুষ্ঠান নয়, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তিন শিল্পীর গভীর অন্বেষণ। পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার, শ্রীকান্ত আচার্য এবং কবি জয় গোস্বামী--এই তিন জনের সাধনভূমি একেবারে ভিন্ন।

রবিঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি, আয়োজনে তেজেন্দ্র নায়ারণ, শ্রীকান্ত আচার্য, জয় গোস্বামী
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2025 | 5:54 PM
Share

রাগ সঙ্গীতের সঙ্গে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথকে মিলিয়ে এক সুরের ঝর্ণাধারা দর্শক শ্রোতাদের উপহার দিতে চাইছেন তিন দিকপাল পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার, জয় গোস্বামী ও শ্রীকান্ত আচার্য্য। অনুষ্ঠানের নাম ‘রবি রাগ পথে’। এই ভাবনা নিয়ে টিভিনাইন বাংলার সঙ্গে কথা বললেন পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার। তিনি বললেন, “এই অনুষ্ঠানে আমি সরোদে কোনও এক রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজাবো না, রবীন্দ্রনাথের গান যে রাগে আধারিত সেই রাগ বাজাবো। আসলে অনেকেই ভাবেন রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে গেলে রাগ সঙ্গীত না বুঝলেও চলবে। সেটা কিন্তু একদমই ঠিক নয়। রবীন্দ্রনাথের গানে কিছু কিছু জায়গায় রাগের এমন বিস্তার আছে, সেই রাগ না বুঝলে, না বিশ্লেষণ করলে কিন্তু ওই গান অনুভব করে ঠিকভাবে গাওয়া খুব মুশকিল। রবীন্দ্রনাথের গানে রাগের যে ব্যবহার তা এক বিস্ময়, সেই নিয়ে শুধু একটা ‘রবি রাগ পথে’ যথেষ্ট নয়। অজস্র অনুষ্ঠান করা যায়।” এই প্রসঙ্গ আলোচনার মাঝেই উঠে এল পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণের জীবনে রবীন্দ্র সঙ্গীত এর প্রভাব অসীম। তিনি বললেন, “রবীন্দ্রনাথের গান, আমার যত বয়স বেড়েছে তার মানে আরও গভীর হয়েছে। আমার রবীন্দ্রনাথের অনেক প্রিয় গানের মধ্যে একটি , ‘শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝড়ে…’বেহাগ রাগের গান কিন্তু সেখানে তিনি বর্ষাকে বর্ণনা করেছেন।”

সামনেই ২২ শ্রাবণ, রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস। তাঁর অগাধ প্রতিভা-ভাণ্ডার থেকে মণি- মানিক্য বাঙালি তাই আজও খুঁজে চলেছে। এই খোঁজ বিরামহীন। রবীন্দ্রনাথকে খুঁজতে গিয়েই এমনই এক নতুন পথের সন্ধান পেয়েছেন এই সময়কার তিন গুণী শিল্পী– পদ্মশ্রী পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার, শ্রীকান্ত আচার্য এবং কবি জয় গোস্বামী। এই খোঁজের নাম তাঁরা দিয়েছেন “রবি রাগ পথে”। নামকরণটির কৃতিত্ব কবি জয় গোস্বামীর। আগামী ৯ আগস্ট জি ডি বিড়লা সভাঘরে সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টায় কবিগুরুকে নতুন আলোয় খোঁজার পথ দেখাবেন এই তিন দিকপাল। নিঃসন্দেহে বাঙালি তাঁর নিরন্তর রবীন্দ্রনাথ-চর্চায় এক নতুন পথের দিশা পেতে চলেছেন।

“রবি রাগ পথে” শুধুমাত্র একটি আর-পাঁচটা রাবীন্দ্রিক অনুষ্ঠান নয়, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তিন শিল্পীর গভীর অন্বেষণ। পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার, শ্রীকান্ত আচার্য এবং কবি জয় গোস্বামী–এই তিন জনের সাধনভূমি একেবারে ভিন্ন। তেজেন্দ্র নারায়নের ক্ষেত্রে এই ভূমি সরোদ, শ্রীকান্ত আচার্যের ক্ষেত্রে কন্ঠ এবং জয় গোস্বামীর ক্ষেত্রে ভাষা। এই সন্ধ্যায় রাগ-রাগিনীর পথে রবীন্দ্রনাথের গানের বিস্তার। রাগপথে এই বিস্তারের  অন্বেষণ তিন শিল্পীকে এক সুতোয় বেঁধে দিয়েছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। রাগ-রাগিনীর নানা বাঁকে রবীন্দ্রনাথের গান কীভাবে আলো ফেলেছে সেই নিয়েই অনুষ্ঠান “রবি রাগ পথে”।