ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেহ ব্যবসার টাকাই রয়েছে! আদালতে চিৎকার নায়িকার, কী ঘটল?
নাহ কোনও গুঞ্জন নয়, কিংবা কোনও সিনেমার প্রচার নয়। বরং নিজের জীবনের এক অন্ধকার সর্বসমক্ষে তুলে ধরেছিলেন অভিনেত্রী। যা শুনে সেই সময় বিস্ফোরণ ঘটেছিল বলিপাড়ায়। কেউ ভাবতেই পারেননি, বলিউডের এক নম্বর নায়িকা এমনটি করতে পারেন!

গ্ল্যামার জগতের আলোর ঝলকানির নেপথ্যের অন্ধকারের গল্প আমরা কজনই বা জানি। পর্দায় নায়ক-নায়িকারা যে চরিত্রে এসে দাঁড়ান, তাতেই বিশ্বাস করে নেন অনুরাগীরা। কিন্তু মেকআপ সরার পর সত্যিই কি বাস্তবের রূপটা ফুটে ওঠে নায়ক-নায়িকাদের? নাকি সেখানেও থাকে কোনও চিত্রনাট্য! হ্যাঁ, এমনই প্রশ্ন ওঠে যখন কোনও একনম্বর নায়িকা এসে দাঁড়ায় আদালতের কাঠগড়ায়। বিচারপতির সামনেই চিৎকার করে বলে ওঠেন, আমি সব টাকা দেহ ব্যবসা করেই কামিয়েছি!
নাহ কোনও গুঞ্জন নয়, কিংবা কোনও সিনেমার প্রচার নয়। বরং নিজের জীবনের এক অন্ধকার সর্বসমক্ষে তুলে ধরেছিলেন অভিনেত্রী। যা শুনে সেই সময় বিস্ফোরণ ঘটেছিল বলিপাড়ায়। কেউ ভাবতেই পারেননি, বলিউডের এক নম্বর নায়িকা এমনটি করতে পারেন!
বলিউডের এক সময়ের এক নম্বর নায়িকা মালা সিনহা। যে মালা সিনহা ছয়ের দশক ও সাতের দশকে সব থেকে বেশি পারিশ্রমিক নিয়ে সিনেমা করতেন। রাজ কাপুর, কিশোর কুমার, দেব আনন্দ, ধর্মেন্দ্র, রাজ কুমার, রাজেন্দ্র কুমার, বিশ্বজিতের মতো ডাকসাইটে নায়কদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে অভিনয় করেছেন। উত্তম কুমারের সঙ্গে তাঁর ‘সাথী হারা’, ‘পৃথিবী আমারে চাই’ ছবি খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। এমনকী কথা ছিল উত্তমের সঙ্গে এক হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করার। তবে তা পরবর্তীকালে সম্ভব হয়নি। সেই নায়িকার বাথরুম থেকে পাওয়া গিয়েছিল লক্ষ লক্ষ কালো টাকা। আয়কর দফতরের রেড পরতেই ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। সেই সময় ১২ লক্ষ টাকা মানে কিন্তু অনেকটাই!
ব্য়াপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। সালটা ১৯৭৮। তখন মালা সিনহার সিনে কেরিয়ার মধ্যগগণে। হঠাৎই আয়কর দফতরের কর্তারা হানা দিল অভিনেত্রীর বাড়িতে। মালার বাথরুম থেকে উদ্ধার হল ১২ লক্ষ টাকা। সেই সময় তাঁর হিসেবে দিতে পারেননি অভিনেত্রী। সেই সময় এই ঘটনা বিনোদুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছিল। এই ঘটনার রেশ পৌঁছেছিল আদালত চত্বরে। সেই সময় খবরে এসেছিল, মালা সিনহা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলে উঠেছিলেন, সব টাকা দেহব্যবসা করে কামিয়েছি! মালার এই মন্তব্যেই অন্ধকার ছেয়ে যায় তাঁর সিনে কেরিয়াখুরে। এরপরই প্রচুর ছবি তাঁর হাত ফসকে যায়। বলিউডে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যায়।

তা এমন কেন বলেছিলেন মালা সিনহা?
জানা যায়, মালা সিনহার বাবা ছিলেন মুম্বইয়ে নামকরা আইনজীবী। বাবার কথাতেই নাকি তিনি আদালতে এত বড় মিথ্যা বলেছিলেন। ভেবেছিলেন এটা বললেই হয়তো সাত খুন মাফ। তবে মাফ হয়নি। মোটা টাকা জরিমানা দিতে হয়েছিল তাঁকে। তবে তাঁর এই মিথ্যে যে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে, তা আন্দাজও করতে পারেননি মালা সিনহা।
