AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সব কিছু ঠিক থাকলে মুনমুন সেনের শ্বশুর হতেন উত্তম কুমার! কথা এগিয়েও কেন হল না স্বপ্নপূরণ?

সেই বন্ধুত্ব থেকেই বাংলা ছবির ইতিহাসে এমন এক ঘটনা ঘটেছিল, যা কিনা আটের দশকে হইচই ফেলে দিয়েছিল। সেই ঘটনা অনুরাগীদের কাছে ছিল সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ। তবে এই সারপ্রাইজে সুচিত্রা সেন নয়, বরং তাঁর কন্যা অভিনেত্রী মুনমুন সেন নিয়েছিলেন এন্ট্রি!

সব কিছু ঠিক থাকলে মুনমুন সেনের শ্বশুর হতেন উত্তম কুমার! কথা এগিয়েও কেন হল না স্বপ্নপূরণ?
| Updated on: Aug 30, 2025 | 2:20 PM
Share

উত্তম-সুচিত্রা মানেই বাংলা সিনেমার সেই উজ্জ্বল অধ্য়ায়, যা ওটিটির যুগেও ম্লান হয়ে যায়নি। তাঁদের সিনেমা, তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন আজও অনুরাগীদের কাছে হটকেক। তবে শুধুই সিনেমার পর্দায় নয়, বাস্তবেও এই জুটি নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন থাকলেও, এদের বন্ধুত্বের কথা টলিউডে কান পাতলে আজও শোনা যায়। আর সেই বন্ধুত্ব থেকেই বাংলা ছবির ইতিহাসে এমন এক ঘটনা ঘটেছিল, যা কিনা আটের দশকে হইচই ফেলে দিয়েছিল। সেই ঘটনা অনুরাগীদের কাছে ছিল সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ। তবে এই সারপ্রাইজে সুচিত্রা সেন নয়, বরং তাঁর কন্যা অভিনেত্রী মুনমুন সেন নিয়েছিলেন এন্ট্রি!

সময়টা সাতের দশকের প্রায় শেষের দিক। পরিচালক পার্থপ্রতিম চৌধুরী একটি চিত্রনাট্য় লিখে ফেলেছিলেন। ছবিটির গল্পের কেন্দ্রে শ্বশুর মশাই ও ছেলের বউ। দুজনের বন্ধুত্বই ছিল এই ছবির গল্পের ইউএসপি। যা কিনা সেই সময় বাংলা ছবির ক্ষেত্রে ছিল একেবারে চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। পরিচালক পার্থপ্রতিম এই ছবির জন্যই এক অসাধ্য সাধন করেছিলেন। শ্বশুরের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি করিয়ে ছিলেন উত্তমকুমারকে। আর তাঁর বিপরীতে বউমার চরিত্রে বেছে নিয়ে ছিলেন মুনমুন সেনকে!

জানা যায়, এই ছবি তৈরির কথা শুনে দারুণ আনন্দ পেয়েছিলেন সুচিত্রা সেনও। উত্তমের বিপরীতে যে তাঁর মেয়ে অভিনয় করবে এই বিষয়টা তাঁকে খুবই এক্সাইটেড করেছিল। শোনা যায়, ছবির মহরতও করে ফেলেছিলেন পরিচালক। সেখানে হাজির ছিলেন পরিচালক পার্থ, উত্তম ও মুনমুনও। ছবির নাম ঠিক হয় রাজবধূ।

কেন উত্তম-মুনমুনকে নিয়ে তৈরি হল না সেই ছবি?

সালটা ১৯৮০। জুলাই মাস। সেই সময় ওগো বধূ সুন্দরী ছবির শুটিং করছেন উত্তম কুমার। সেই শুটিংয়ের মাঝেই যে উত্তম অসুস্থ হয়ে পড়েন, সে তথ্য সবার জানা। ওগো বধূ সুন্দরীর পাশাপাশি এই রাজবধূ ছবিরই শুটিং করার কথা ছিল উত্তমের। কিন্তু তা শুরুর আগেই সব শেষ। ১৯৮০ সালের ২৯ জুলাই প্রয়াত হন মহানায়ক। তাই পরিচালক পার্থপ্রতীম ও মুনমুন সেনের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। পরে অবশ্য ছবিটা তৈরি হয়েছিল। উত্তমের জায়গায় অভিনয় করেন উৎপল দত্ত। ছবিটি বক্স অফিসে হিটও করে।