AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘প্রতিযোগিতাহীন বিনিময়ের সম্পর্ক…’, ছন্দা রায় প্রয়াণে শোকস্তব্ধ উর্মিমালা-চৈতালি

Chanda Roy Death: মৃত্য়ুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৭৮ বছর। খবর প্রকাশ্যে আশা মাত্র শোকস্তব্ধ সকলে। তাঁর বন্ধুবর্গ থেকে শুরু করে তাঁর সমসাময়িক শিল্পীরা। TV9 বাংলাকে প্রতিক্রিয়া জানালেন, উর্মিমালা বসু, চৈতালি দাশগুপ্ত ও শঙ্কর চক্রবর্তী। 

'প্রতিযোগিতাহীন বিনিময়ের সম্পর্ক...', ছন্দা রায় প্রয়াণে শোকস্তব্ধ উর্মিমালা-চৈতালি
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2024 | 5:33 PM
Share

প্রয়াত ছন্দা রায়। বাংলা সংবাদ জগতের নক্ষত্র পতন। ১৯৭৪ সালে তিনি আকাশবাণী কলকাতার সংবাদ বিভাগে যোগ দেন সংবাদ পাঠক হিসাবে। খবর পড়তেন তিনি দূরদর্শনেও। বুধবার রাত ২.২৫ নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্য়ুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৭৮ বছর। খবর প্রকাশ্যে আশা মাত্র শোকস্তব্ধ সকলে। তাঁর বন্ধুবর্গ থেকে শুরু করে তাঁর সমসাময়িক শিল্পীরা। TV9 বাংলাকে প্রতিক্রিয়া জানালেন, উর্মিমালা বসু, চৈতালি দাশগুপ্ত ও শঙ্কর চক্রবর্তী।

উর্মিমালা বসু–  যবে থেকে আকাশবাণীর সঙ্গে আমার যোগসূত্রটা হল, সেই তখন থেকে ছন্দা আমাদের (তিনি ও তাঁর স্বামী জগন্নাথ বসু) বন্ধু। এট ৫৩ বছরের বন্ধুত্ব। আমার মনে আছে আমাদের বিয়ে উপলক্ষ্যে বাড়িতে একটা ছোট্ট আয়োজন হয়েছিল, তখন পঙ্কজ, ছন্দা, ওরা সকলে এসেছিল। যে একটি-দুটি বন্ধুকে জগন্নাথ তুই বলে, তাঁদের মধ্যে ছন্দা অন্যতম। ওই বয়সের বন্ধুত্ব আর ৭৪ বছর বয়সে এসে বন্ধুত্বটা তো অন্যরকমের হয়, সবাই তখন নিজেদের অন্যভাবে তৈরি করছে। এক অদ্ভুত পরিচ্ছন্ন, প্রতিযোগিতাহীন বিনিময়ের সম্পর্ক আমাদের ছন্দার সঙ্গে। সকালবেলা প্রথম খবরটা পেলাম ছন্দা নেই। ছন্দা খুব ভুগছিল। এখন সময়টা এমন, আমাদের ফুরবার পালা, আগে বা পড়ে। ছন্দার বিষয় কথা বলতে গেলে না, আনন্দ-বেদনা মিশে যায়।

চৈতালি দাশগুপ্ত–  ছন্দা খুব ভাল বন্ধু ছিল। ছন্দা যত ভাল পাঠিকা, আকাশবাণীর ঘোষিকা ছিল, ঠিক ততটাই ভাল মানুষ ছিল। এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যায়। ওই ভঙ্গিমাটাকে সকলেই ধরার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কেউ ছন্দা সেন হতে পারেননি। তবে, সবার ওপরে ছন্দা আমার খুব ভাল বন্ধু। ওর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। গত বছর থেকেই ও খুব ভুগছিল। অনেকদিন ধরেই তো ও হাসপাতালে ছিল, ওর মেয়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। তারপর দেখি এই বছর জানুয়ারি ফেব্রুয়ারির পর থেকে ও আমার কোনও মেসেজেরই উত্তর দেয়নি। ফলে তখন থেকে বোধহয় ও আবার অসুস্থ হয়েছিল। কষ্ট পাচ্ছিল। সেদিক থেকে মুক্তি পেয়েছিল ঠিকই, তবে সকাল থেকে এতটাই মনটা খারাপ করছে…। রবিবার করে আমার একটা লেখা বেরোচ্ছে, @দূরদর্শন বলে। তার মধ্যে ছন্দাকে নিয়ে আমি লিখেছি। একটা গল্প শেয়ার করতে পারি, আমার সঙ্গে ছন্দা সেনের প্রথম আলাপ, মেকআপ রুমে ছিলাম। ওনাকে দেখে প্রশ্ন করলাম, ‘আপনি ছন্দা সেন?’ উনি বলেছিলেন ‘কেন?’ উনি তো শ্যামলা ছিলেন, আমায় তাই টোন ডাউন করতে হত মেকআপ করে। আর উনি আসতেন এসে আমার অংশটুকু বুঝিয়ে যেতেন, আর বলতেন, ফর্সা হয়েছিস তা এবার মেকআপ কর। এ অনেক দিনের সাথী হারানোর দুঃখ।

শঙ্কর চক্রবর্তী– আমার সঙ্গে ওনার কোনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল না। আমি ওনাকে পর্দায় সংবাদ পাঠিকা হিসেবেই চিন্তাম। সেই সময় উনি খবর পড়তেন একটা অদ্ভুত সুন্দর রেডিও ঘোষিকা হিসেবে। সেখান থেকে টিভিতে আসেন। দূরদর্শনের খবরটাই তখন সকলে দেখত। তখন তো আর এত নিউজ পোর্টাল, খবরের চ্যানেল ছিল না। দুরদর্শনের খবরের জন্যই লোকেরা বসে থাকতেন। রেডিওতে যখন খবর পড়া হত দেখা যেত না, তারপর দুরদর্শনে সেই প্রথম, যেখানে দেখা যায় কে পাঠ করছেন, সঙ্গে কিছু ছবিও যেত। চেষ্টা করতেন ওরা সেই সময়। প্রথমদিকে ছিল না পরের দিকে হত। তাঁর মৃত্যু তো একটা যুগের অবসান। এটা সত্যি খুব মর্মান্তিক ঘটনা। ওনার জায়গা পূরণ হওয়ার নয়। একটা যুগের অবসান ঘটল।