Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মহানায়ককে বাবার আসনে বসিয়েছিলেন, সুপ্রিয়ার কন্যাকে কি স্বীকৃতি দিয়েছিলেন উত্তমকুমার?

Uttam Kumar-Supriya Devi - Soma : বাড়িতে স্ত্রী গৌরীদেবী থাকতেও অভিনেত্রী সুপ্রিয়াদেবীর সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল উত্তমকুমারের। শোনা যায়, উত্তমকুমারের জন্য নিজের ঘর ভেঙেছিলেন সুপ্রিয়াদেবী। সেই সময় তাঁর ছোট মেয়ে সোমাও ছিল। মায়ের প্রেমিক উত্তমকুমারের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল সোমার। TV9 বাংলাকে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন সোমাই।

মহানায়ককে বাবার আসনে বসিয়েছিলেন, সুপ্রিয়ার কন্যাকে কি স্বীকৃতি দিয়েছিলেন উত্তমকুমার?
উত্তম-সোমা (বাঁ দিকে), সোমা-সুপ্রিয়া।
Follow Us:
| Updated on: Jan 24, 2024 | 10:29 AM

উত্তমকুমারের সঙ্গে সুপ্রিয়াদেবীর যখন সম্পর্ক তৈরি হয়, তখন সুপ্রিয়াদেবীর কন্যা সোমার বয়স ছিল ৭-৮ বছর। সেই অল্প বয়সে হঠাৎই তারকা কন্যা জানতে পারেন মহানায়কের সঙ্গে তাঁর মায়ের বিশেষ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সেই ছোট বয়সে কোনও ধরনেরই প্রতিক্রিয়া দিতে পারেননি সোমা। তিনি সেই সময় নৈনিতালের বোর্ডিং স্কুলে পড়তেন। ছিলেন মায়ের বাধ্য মেয়ে। তাঁকে সুপ্রিয়াদেবী যা বলতেন, তাই-ই করতেন তিনি। মায়ের ভাল থাকাটাই ছিল সোমার কাছে শেষ কথা। উত্তমকুমার এবং সুপ্রিয়াদেবীর সম্পর্ক নিয়ে কোনওদিনও কোনও মতামত প্রকাশ করেননি সোমা। এসবই এক প্রতিবেদনে TV9 বাংলাকে বলেছিলেন সুপ্রিয়াকন্যা।

সোমা জানিয়েছিলেন, তাঁর মা সুপ্রিয়াদেবীর উপর ভীষণই নির্ভরশীল ছিলেন উত্তমকুমার। সুপ্রিয়াদেবীই সম্পূর্ণ দেখভাল করতেন উত্তমকুমারের। সোমা বলেছিলেন, “মায়ের অনেক ত্য়াগ ছিল উত্তমকুমারের জন্য়। তাঁর সাফল্যের পিছনে আমার মায়ের অনেক অবদান আছে। উত্তমকুমারকে অনেককিছু শিখিয়েছিলেন আমার মা।”

প্রেমিকার কন্যা সোমার সঙ্গে কেমন ছিল উত্তমকুমারের সম্পর্ক?

TV9 বাংলাকে সোমা জানিয়েছিলেন, উত্তমকুমারকে একটি বিশেষ নামে ডাকতেন তিনি। সেই আদরের ডাক ছিল ‘বাবি’। সোমা বলেছিলেন, “মাত্র ১৯ বছর বয়সে বিয়ে হয় সোমার। নিজের বাবাকে খুবই মিস করতাম। উত্তমকুমারকে আমি শুরু থেকেই বাবি বলে ডেকেছিলাম। মা-ই আমাকে সেই নামে ডাকতে বলেছিলেন তাঁকে। আমি নিজের বাবার জায়গায় বসিয়েছিলাম মহানায়ককে।” উত্তমকুমারকে বাবি বলে ডাকলেও সোমার নিজের বাবা, অর্থাৎ সুপ্রিয়াদেবীর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সোমার। দিল্লিতে থাকতেন তিনি। নিয়মিত দেখাও করে আসতেন তাঁর সঙ্গে। উত্তমকুমারকে নিয়ে কোনও বক্তব্য ছিল না তাঁর। তিনিও আবার বিয়ে করেছিলেন।

বাবা মায়ের বিবাহবিচ্ছেদের পর মা কেন্দ্রিক হয়ে গিয়েছিল সোমার জীবন। ছোটবেলা থেকেই উত্তমকুমারকে তাঁদের বাড়িতে আসতে দেখতেন সুপ্রিয়াকন্যা। এদিকে সুপ্রিয়াদেবীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকতেও নিজের পরিবারকে কোনওদিনও ত্যাগ করেননি উত্তমকুমার। তাই সোমার মনে হয়েছিল, উত্তমকুমার যথেষ্ট শক্ত মনের মানুষ নন।